Kangana Ranaut on Ramadan: 'রমজানের জমায়েত থামান', প্রধানমন্ত্রীকে লিখেও ট্যুইট মুছলেন কঙ্গনা
ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কুম্ভমেলার মত রমজানের জমায়েত বন্ধ করার অনুরোধ জানান বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানওয়াত। যদিও কিছুক্ষণ পরে সেই ট্যুইটটি ডিলিট করে দেন খোদ অভিনেত্রীই।
মুম্বই: দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ভয় ধরাচ্ছে হাসপাতাল ও সৎকার করার স্থানগুলির ছবি। আর এই পরিস্থিতিও কার্যত বেলাগাম ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জমায়েত। কুম্ভমেলায় ৩০ জন সাধুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে জুনা আখড়ার আচার্যের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর অনুরোধ মেনে সময়ের আগেই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জুনা আখড়ার কুম্ভমেলা। কুম্ভমেলায় প্রতীকী অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরেই ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কুম্ভমেলার মত রমজানের জমায়েত বন্ধ করার অনুরোধ জানান বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানওয়াত। যদিও কিছুক্ষণ পরে সেই ট্যুইটটি ডিলিট করে দেন খোদ অভিনেত্রীই।
সুশান্তকাণ্ডের পর চিরকালই মোদি সরকারের সমর্থনে কথা বলেছেন কঙ্গনা। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি। সরাসরি না হলেও, প্রচ্ছন্নভাবে মোদির সমস্ত কাজকেই সমর্থন করেন তিনি। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে জুনা আখড়ার কুম্ভমেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্তকেও সমর্থনই জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর পবিত্র রমজান মাসের জমায়েত ও ইফতার পালনেও বিধিনিষেধ আরোপ করার দাবি জানান তিনি। ট্যুইট করে তিনি লেখেন, 'শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী জী, আপনার কাছে কুম্ভমেলার পর রমজানের জমায়েতও বন্ধ করার আবেদন রইল।' কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ট্যুইটটি মুছে দেন তিনি। শেষরক্ষা হয়নি। ইতিমধ্যেই অনেকে স্ক্রিনশট নিয়ে ফেলেন সেই ট্যুইটের। ভাইরাল হয়ে যায় সেটি। কঙ্গনা করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই আবেদন করেছিলেন তা স্পষ্ট। কিন্তু কেন তিনি ট্যুইটটি ডিলিট করে দিলেন তা জানা যায়নি। এবিষয়ে মুখ খোলেননি অভিনেত্রীও।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। দেশজুড়ে ১৮ বছর বয়স হলেই মিলবে করোনার ভ্যাকসিন । ১ মে থেকে মিলবে ভ্যাকসিন । এবার খোলা বাজারেই মিলবে করোনার ভ্যাকসিন। ৫০% ভ্যাকসিন খোলাবাজারে বিক্রি করতে পারবে সংস্থা , সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারবে প্রস্তুতকারী সংস্থা । এবার মানুষ চাইলে নিজেই ভ্যাকসিন কিনে নিতে পারবে। অর্থাত্ রাজ্যগুলিকে সরাসরি ভ্যাকসিন বিক্রি করতে পারবে প্রস্তুতকারী সংস্থা। সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। এর ফলে ভারত বায়োটেক বা সিরাম ইনন্সিটিউট থেকে কিনতে পারবে রাজ্য সরকার। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে টিকা পাওয়া যায়। বেসরকারি হাসপাতালে ২৫০ টাকা করে লাগে।