Kothamrito Exclusive: 'আমার ইচ্ছাপূরণ করতে বাড়িওয়ালাকে অনুরোধ করে বন্ধ দরজা খুলিয়েছিলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়'
Director Jiit Chakraborty Exclusive: 'আমি যে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে পেয়েছি তিনি আদ্যপান্ত অভিনেতা আর একজন ভীষণ ভালো মানুষ। পরিচালকসত্তাকে উনি বোধহয় বাইরে রেখে সেটে আসতেন' বলছেন জিৎ
কলকাতা: যখন তিনি ছবি পরিকল্পনা করছেন, পর্দায় নতুন জুটিকে আনার কথা ভাবছেন, তখন সবাই সতর্ক করেছিলেন। 'কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly).. বর্তমানে টলিউডের প্রথম সারির পরিচালক, অভিনেতা। সামলাতে পারবি তো?' একটু হেসে তরুণ পরিচালক উত্তর দিয়েছিলেন, 'দেখা যাক না কি হয়!' কারণ এই সতর্কবার্তা তাঁর কাছে নতুন নয়। প্রথম পরিচালনার কাজ ছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee) আর মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar)-এর সঙ্গে। তখনও শুনেছিলেন একই রকম সতর্কবার্তা.. 'সামলাতে পারবি তো?' উত্তরে শেষের কবিতা উপহার দিয়েছিলেন পরিচালক। আর এবার উপহারে এক নতুন জুটির 'কথামৃত' সাজাচ্ছেন তিনি। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় আর অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Auddy)-র জুটির নতুন ছবি 'কথামৃত' মুক্তি পাবে ১৮ নভেম্বর। পরিচালনায় জিৎ চক্রবর্তী (Jiit Chakraborty)।
আরও পড়ুন: Lokkhi Chele Teaser: বিজ্ঞান না অন্ধবিশ্বাস, লড়াই জিততে পারবে 'লক্ষ্মী ছেলে'?
দুই তাবড় অভিনেতার সঙ্গে একটা গোটা ছবির কাজ, অনেক টুকরো টুকরো স্মৃতি। তার মধ্যে থেকে যদি সেরা স্মৃতিটা বেছে নিতে বলা হয়? এবিপি লাইভকে জিৎ বলছেন, 'আমায় সবাই প্রথমে একটু ভয়ই দেখিয়েছিল। কিন্তু আমি যে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে পেয়েছি তিনি আদ্যপান্ত অভিনেতা আর একজন ভীষণ ভালো মানুষ। পরিচালকসত্তাকে উনি বোধহয় বাইরে রেখে সেটে আসতেন। আমার সঙ্গে এতটা সহজ, বন্ধুর মতো মিশে গিয়েছিলেন যে আমি খোলা মনে কাজটা করতে পারতাম। একটা ঘটনার কথা মনে আছে.. আমাদের তখন শ্যুটিং হচ্ছে খাঁচা বাড়িতে। হাজরার কাছে। ওই বাড়ির একটা অংশ বন্ধ করে রাখতেন বাড়িওয়ালা। আমার আবার খুব ইচ্ছা ওই বন্ধ দরজা খুলিয়ে ওখানে ট্রলি পেতে একটা শট নেব। অনেক চেষ্টাচরিত্র করেও যখন অনুমতি মিলল না, বাইরে ট্রলি পেতেই শট নিলাম। কিন্তু শট শেষ করেই এগিয়ে এলেন কৌশিকদা। উনি যে কখন আমার সেই ইচ্ছার কথা শুনে ফেলেছেন বুঝতেও পারিনি। আমায় বললেন.. 'তুই ওখানে ট্রলি পেতে শট নিতে চাস? দাঁড়া..' বলেই সোজা বাড়িওয়ালার কাছে। অনুরোধ করে রাজি করিয়েও ফেললেন ওঁকে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলেই বোধহয় সম্ভব। দরজা খুলল.. ট্রলি পাতা হল.. শট শেষ করে কৌশিকদা বললেন, 'কিরে খুশি?' ঠিক এমনই আবদারে প্রশ্রয়ে গোটা কাজটা করে ফেললাম। বিন্দুমাত্র কষ্ট হয়নি।'
আর অপরাজিতা আঢ্য? জিৎ বললেন, 'অপাদি তো ভীষণ মিশুকে আর মিষ্টি একটা মানুষ। প্রচণ্ড গরমে শ্যুটিং করে চলেছি। ওনার কোনও ক্লান্তিই নেই। বারবার কস্টিউম বদলে বদলে শট দিচ্ছেন। এমন অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করাটা যেমন সৌভাগ্যের, তেমনই সোনালি স্মৃতি হয়ে রয়ে যায় সবটা।'