সোনু সুদের নামে বাড়ি ফিরে দোকান খুললেন পরিযায়ী শ্রমিক
কেরলের কোচিতে একটা কোম্পানিতে প্লাম্বারের কাজ করতেন তিনি। দৈনিক ৭০০টাকার মতো রোজগার ছিল।
কলকাতা: লকডাউনের অন্ধকারে দিশা দেখিয়েছেন। কাজ হারানো, ছাদ হারানো মানুষগুলোকে নিজের দায়িত্বে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে হয়ে উঠেছেন ফরিস্তা। লকডাউনে সোনুকে ত্রাতার ভূমিকায় পেয়েছে গরিব মানুষ। কারও কারও কাছে তিনি তাই 'ভগবান'। ওড়িশার এক শ্রমিক সোনু সুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে, বাড়ি ফিরে তাঁর নামেই খুললেন ঝালাইয়ের দোকান। নাম রাখলেন 'সোনু সুদ ওয়েল্ডিং ওয়ার্ক শপ'।
গত ২৯ মে কেরল থেকে বিশেষ বিমানে ওডিশার কিছু পরিযায়ী শ্রমিককে ঘরে ফিরিয়েছিলেন সোনু। সেই বিমানেই ফিরেছিলেন ওডিশার এই বছর ৩২ এর যুবক। নাম প্রশান্ত। সেই দুঃস্বপ্নের মধ্যে আর ফিরতে চান না তিনি। ওডিশায় নিজের বাড়ির কাছেই খুলেছেন ঝালাইয়ের দোকান। সেই দোকানেরই নামকরণ করেছেন সোনুর কথা মনে করে। সামনে লাগিয়েছেন সোনু সুদের একটি ছবিও ।
তিনি জানিয়েছেন, কেরলের কোচিতে একটা কোম্পানিতে প্লাম্বারের কাজ করতেন তিনি। দৈনিক ৭০০টাকার মতো রোজগার ছিল। তবে লকডাউনে সেই কাজ চলে যায়। সেই সময় পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়। শেষমেষ সমস্যার সুরাহা করেন সোনু। প্রশান্ত জানিয়েছেন, দোকানের নামকরণের ব্যাপারে, তিনি সোনুর অনুমতিও নিয়েছেন।
সোনু সম্প্রতি জানান, প্রতিটি পরিযায়ী শ্রমিকের সমস্যা না মেটা অবধি তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন। আর এই বিরাট কর্মযজ্ঞ তিনি সামলাচ্ছেন ব্যক্তিগত খরচেই।