(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
চিলেকোঠার ঘরে শুয়ে সারা রাত কাচ ভাঙার শব্দ! ভৌতিক অভিজ্ঞতা হয়েছিল উপলের
চিলেকোঠার ঘরে একা শুয়ে ভুতের গল্পের বই পড়ছিলেন উপল। খোলা জানলা দিয়ে গোটা ছাদটা দেখা যাচ্ছে। রাত বাড়ছে, ভয়ও করছে একটু একটু। হঠাৎ ঝনঝন করে শব্দ।
কলকাতা: সালটা সম্ভবত ১৯৭৯। চিলেকোঠার ঘরে একা শুয়ে ভুতের গল্পের বই পড়ছিলেন উপল। খোলা জানলা দিয়ে গোটা ছাদটা দেখা যাচ্ছে। রাত বাড়ছে, ভয়ও করছে একটু একটু। হঠাৎ ঝনঝন করে শব্দ। চমকে উঠলেন উপল! ছাদে বেরোবেন না ভাবতে ভাবতেই আবার শব্দ! তারপর? নতুন ছবি 'তরুলতার ভূত' -এর ট্রেলার ও মিউজিক লঞ্চের অনুষ্ঠানে এসে ছোটবেলার ভৌতিক অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন সঙ্গীতশিল্পী উপল সেনগুপ্ত।
পরিচালনায় পা রাখছেন দেব রায়। তাঁর প্রথম ছবি 'তরুলতার ভূত'-এর মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, ইশা সাহা ও বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন উপল সেনগুপ্ত। সম্প্রতি ছবির ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে এসে ছোটবেলার গল্প শোনালেন তিনি। রাতে চিলেকোঠার ঘরে একা বই পড়তে পড়তে সারারাত বার বার কাচ ভাঙার শব্দ শুনেছিলেন উপল। পরেরদিন সকালে উঠে উদ্ধার হয়েছিল রহস্য। উপল বলছেন, 'সারারাত ঘরের বাইরে কাচ ভাঙার শব্দ পেয়ে সেই রাতটা ভয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। বাইরে যাবার সাহস করিনি। আমার বাড়ি সল্টলেকে। সেইসময় সেখানে খুব কম জনবসতি ছিল। পরেরদিন সকালে উঠে দেখলাম, আমার জানলা একটা কাচ ভাঙা ছিল। হাওয়ায় সেই কাচের টুকরোগুলো নিচে রাখা টিনের ওপর পড়ছিল। আর তাতেই এই শব্দ। আমি কিন্তু বেশ হতাশ হয়েছিলাম যে ব্যাপারটা ভৌতিক কিছু নয়। একটু ভুতুড়ে কিছুর সন্ধান পেলে মন্দ হত না।'
'তরুলতার ভূত' -এর সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করে খুশি উপল। বললেন, 'এই প্রথম একটা ছবিতে কাজ করলাম, সেখানে একবারের জন্যও কোনও গান বদলাতে হয়নি। পরিচালক থেকে শুরু করে যাঁরা গান লিখেছেন সবাই আমার বন্ধু। প্রত্যেকে পরিষ্কার ছিলেন ছবির কোন কোন দৃশ্যে কেমন গান প্রয়োজন। তাই সবকিছু খুব সহজেই করে ফেলা গেল। বরং সব শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি নিজের সন্তুষ্টির জন্য কিছু কিছু জায়গা পরিবর্তন করেছি। তাতেও বাধা দেননি দেবুদা।'
দর্শকদের ভালো লাগবে তরুলতার ভূত, কারণ সেখানে গল্প আছে, গান আছে, রহস্যও আছে। করোনা পরিস্থিতিতে এই ছবিতে দেখতে হলে আসবেন মানুষ, আশাবাদী উপল।