Nandita on KK Demise: 'কলকাতার প্রশাসন কে কে’কে হত্যা করেছে', সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক ওম পুরীর স্ত্রী
Nandita Puri on KK Demise: 'আমি বুঝতে পারছি, মানুষের বোঝার কিছু ভুল হয়েছে। আমি পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতার মানুষকে দোষী সাব্য়স্ত করতে চাইনি বা তাঁদের ছোট দেখাতেও চাইনি'

কলকাতা: 'পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কে কে-কে হত্যা করেছে এবং নজরুল মঞ্চের বিশৃঙ্খলাকে ঢাকার চেষ্টা করেছে গান স্যালুট দিয়ে। আড়াই হাজার মানুষ যে প্রেক্ষাগৃহে ধরে, সেখানে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এয়ার কন্ডিশান কাজ করেনি। কে কে মারাত্মকভাবে ঘামছিলেন এবং ৪ বার অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। ছিল না কোনও প্যারামেডিসিনের ব্যবস্থাও। কোনও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। হেলায় হারানো হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই ঘটনার একটা সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। এবং সেই পর্যন্ত বলিউডের উচিত বাংলায় পারফর্ম করার জন্য যাওয়াকে বয়কট করা।'
ভয়ঙ্কর অভিযোগ। আর এই অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় যিনি লিখছেন, তিনি প্রয়াত প্রবাদ প্রতিম অভিনেতা ওম পুরীর স্ত্রী নন্দিতা পুরী। আজ সোশ্যাল মিডিয়ার লম্বা পোস্টে ইংরাজিতে এই কথাগুলোই লিখেছেন তিনি। কিন্তু এরপর 'এডিট' বলে জুড়েছেন আরও একটি অংশ। সেখানে লেখা, 'আমি বুঝতে পারছি, মানুষের বোঝার কিছু ভুল হয়েছে। আমি পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতার মানুষকে দোষী সাব্য়স্ত করতে চাইনি বা তাঁদের ছোট দেখাতেও চাইনি। আমার লক্ষ্য ছিল সরকার ও ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলা।'
নজরুল মঞ্চে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছিল কে কে-র অনুষ্ঠানে। দুই দিন কলকাতায় অনুষ্ঠান ছিল কে কে-র। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান ছিল নজরুল মঞ্চে। আয়োজন করেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। স্যার গুরুদাস কলেজের ফেস্টে আমন্ত্রিত ছিলেন কে কে। গুরুদাস মঞ্চে বসবার জায়গা ২০০০ থেকে ২৫০০০ মানুষের। ১ তারিখ কে কে-র অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রায় ৭০০০ মানুষ। এও অভিযোগ, ভিড় ঠেকাতে অগ্নি নির্বাপণ স্প্রে করা হয়। কাজ হয়নি। ভেঙে যায় ভিআইপি গেটের দরজা।
আরও পড়ুন: K K Demise Update: কে কে-র হোটেলের ঘর থেকে ১০ ওষুধ পাওয়া গেলেও মিলল না প্রেসক্রিপশন, খবর সূত্রের
কে কে দেখার উচ্ছাসে 'টিকিট নেই' পোস্টার মানেননি দর্শকেরা। পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন অনেকেই। এদিকে বদ্ধ নজরুল মঞ্চে ততক্ষণে গরম বাড়ছে। মঞ্চে কে কে গান গাইতে গাইতে বার বার ঘাম মুছছিলেন, দর্শকদের কিছুটা মজা করেই দেখাচ্ছিলেন ঘামে ভেজা টি শার্ট। জল খাচ্ছিলেন বার বার, বিরতিতে বিশ্রামও নেন ব্য়াকস্টেজে গিয়ে। বার বার বলেন এসি কাজ করছে না, বলেছিলেন স্পটলাইট নিভিয়ে দিতে। শোনা হয়নি সেই কথা। অডিটোরিয়ামে তখন তিল ধারণের জায়গা নেই। শেষ গান গেয়েছিলেন, হাম রহে ইয়া না রহে কাল.. কাল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল..'।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
