Netflix lays off : একসঙ্গে ৩০০ জনের চাকরি গেল নেটফ্লিক্স থেকে, কারণ জানেন?
আগেও একবার বড় সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করেছিল নেটফ্লিক্স। এবার একসঙ্গে ৩০০ জনের চাকরি গেল নেটফ্লিক্স থেকে।
আবারও কর্মী ছাঁটাই নেটফ্লিক্সে। নিউইয়র্ক (সিএনএন বিজনেস) নেটফ্লিক্স স্ট্রিমিং জায়ান্টের কর্মীদের জন্য ধাক্কা এল। আগেও একবার বড় সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করেছিল নেটফ্লিক্স। এবার একসঙ্গে ৩০০ জনের চাকরি গেল নেটফ্লিক্স থেকে।
কোম্পানির মুখপাত্র বৃহস্পতিবার সিএনএন বিজনেসকে জানান, "যদিও আমরা ব্যবসায় উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ করে চলেছি, তবু এই পদক্ষেপগুলি নেওয়ার কারণ আমরা আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সমন্বয় করতে চাই। আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতে হবে।" সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, "যাঁরা ছাঁটাই হয়েছেন, তাঁরা Netflix এর জন্য যা করেছেন তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ এবং এই কঠিন পরিবর্তনের সময়ে আমরা তাদের সাহায্য পেয়েছি। "
বৃহস্পতিবারের ছাঁটাই Netflix এর কর্মশক্তির প্রায় ৩% ছাঁটাই করে, যার মধ্যে ১১,000 পূর্ণ-সময়ের কর্মচারী রয়েছে। ছাঁটাই বেশিরভাগই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অফিসে ঘটেছে। তবে কোন কোন বিভাগ থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে, তা জানা যায়নি নেটফ্লিক্সের তরফে। আমেরিকান এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিক্রুটিং, কমিউনিকেশন ও কনটেন্ট বিভাগ থেকে এই কর্মী ছাঁটাই করছে নেটফ্লিক্স। তবে এমন নয় যে নেটফ্লিক্সের ব্যবসায় কোনও ঘাটতে হয়েছে।
এর আগে ২০২২-র এপ্রিলে বেশ কিছু কর্মী ছাঁটাই করে তারা। তখন জানা গিয়েছিল, কারও কর্মদক্ষতার প্রশ্নে নয়, শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কারণেই এই সিদ্ধান্ত। এমন তথ্য প্রকাশ করে তারা। তবে সারা বিশ্বের দর্শকদের কাছে ভাল ভাল কন্টেন্ট পৌঁছে দিতে তারা বদ্ধপরিকর।
গত ১৮ মে-ও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পায় নেটফ্লিক্সের কর্মী ছাঁটাইয়ের সংবাদ। সংস্থার মধ্যে চাপানউতোর চলছিলই । আতঙ্কে কাঁটা হয়ে ছিলেন কর্মীরা। এর পর মে মাসে মোট ১৫০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করে নেটফ্লিক্স। যদিও এর কারণ ব্যবসায়িক বলেই জানায় ওটিটি-জায়ান্ট।
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা বিশ্বে এই প্ল্যাটফর্মে কর্মী সংখ্যা ছিল ১১ হাজার। তার মধ্যে চাকরি হারিয়েছেন ২ শতাংশেরও কম। আপাতত তালিকায় ছিলেন মূলত আমেরিকার কর্মীরাই। নেটফ্লিক্সের মুখপাত্রের দাবি, ‘‘সংস্থার উপার্জন বৃদ্ধির গতি কমে যাওয়াতর দরুন ব্যয়েও রাশ টানতে হচ্ছে। সে কারণেই এই পথে হাঁটতে হল কর্তৃপক্ষকে। কারও কর্মদক্ষতার প্রশ্নে নয়, শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কারণেই এই সিদ্ধান্ত।’’