'Jamtara' Producer: আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ 'জামতারা' প্রযোজকের বিরুদ্ধে, মুম্বইয়ে FIR দায়ের
Manish Trehan: মণীশ ত্রেহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ৪০ বছর বয়সী নিহার এলের থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা নেন ব্যবসা বিস্তারের জন্য এবং ফিল্মে টাকা ঢালার জন্য। কবে কীভাবে? উল্লেখ করা হল FIR-এ।
নয়াদিল্লি: জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ 'জামতারা'র (Jamtara) প্রযোজক মণীশ ত্রেহানের (Manish Trehan) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল মুম্বই পুলিশ। খারের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে মণীশের বিরুদ্ধে। ওই ব্যবসায়ীর নাম নিহার এল. (Nihar L.) বলে খবর। প্রযোজকের বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ঠিক কী অভিযোগ প্রযোজকের বিরুদ্ধে?
'জামতারা' প্রযোজক মণীশের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?
মণীশ ত্রেহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ৪০ বছর বয়সী নিহার এলের থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা নেন ব্যবসা বিস্তারের জন্য এবং ফিল্মে টাকা ঢালার জন্য। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মণীশ নাকি সেই সিনেমা অ্যামাজন প্রাইমে রিলিজের কথা দেন।
নিহারের সঙ্গে মণীশের আলাপ হয় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে পরিচিতদের মাধ্যমে। নিহার একটি 'ফিনান্স সার্ভিস ফার্ম' চালান। দায়ের হওয়া এফআইআর অনুযায়ী, মণীশ ত্রেহান নিজেকে 'ক্লিক অন আরএম প্রাইভেট লিমিটেড' নামক অ্যাডভার্টাইজিং এডিটিং সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে পরিচয় দেন এবং কথা দেন যে এক বছরের মধ্যে সুদ সমেত পুরো টাকা ফেরত দেবেন। এই কথায় বিশ্বাস করেই নাকি নিহার অনলাইনে মণীশ ত্রেহানকে ২ কোটি টাকা পাঠান।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সেই ১ বছর সময়কাল শেষ হলে নিহারের সঙ্গে তাঁর অফিসে গিয়ে দেখা করে আসেন মণীশ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সতবন্ত সিংহ নামের এক ব্যক্তি, যাঁকে এক নামী ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উচ্চপদস্থ কর্মী হিসেবে পরিচয় করানো হয়। টাকা ফেরত চাইলে মণীশ জানান যে ওই টাকা ফিল্মে বিনিয়োগ করা হয়েছে যার কাজ প্রায় শেষের পথে। কেবল এডিটের কাজ বাকি বলে জানান। এরপরেও বাড়তি আরও ৫০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে শীঘ্রই সেই ছবি বিক্রি করে টাকা ফেরতের আশ্বাস দেন মণীশ, এমনই অভিযোগ। সেই কথায় ৫ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে আরও ৫০ লক্ষ টাকা পাঠানো হয় মণীশকে, দাবি এমনই। এবার লিখিত লোন চুক্তিও লেখা হয়, আড়াই কোটি ধারের উল্লেখ আছে যেখানে। ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে নগদ তোলার জন্য ৪টি 'পোস্ট ডেটেড' চেকও ইস্যু করা হয় বলে খবর। অভিযোগ, যখন নিহার সেই চেকগুলি জমা দেওয়ার চেষ্টা করেন, সেগুলি ব্যাঙ্ক থেকে বাতিল করে দেওয়া হয় কারণ ত্রেহান নাকি একটি স্টপ পেমেন্ট অর্ডার দিয়ে রেখেছিলেন। মণীশের সঙ্গে যোগাযোগ করার একাধিক ব্যর্থ প্রচেষ্টার পরে, নিহারের কল ব্লক করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই ওই ব্যবসায়ী পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে প্রযোজকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: 'Kick 2': সলমন খান নিয়ে ফিরছেন 'কিক ২'! বিপরীতে কোন নায়িকা? কী তথ্য দিলেন সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা?
সান্তাক্রুজ পুলিশ এখন মণীশ ত্রেহান এবং সতবন্ত সিংহের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা), ৪০৬ (বিশ্বাসের অপরাধমূলক লঙ্ঘন) এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। নিহারের অভিযোগ এই গোটা ঘটনায় মণীশ ত্রেহানের স্ত্রীও জড়িত, যদিও তাঁর নাম এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়নি। মণীশ ত্রেহানের আইনজীবী, শিবম দেশমুখ, এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে বলেছেন যে ত্রেহান ইতিমধ্যেই ঋণের পরিমাণের একটি অংশ পরিশোধ করেছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ নিহার এবং তাঁর বাবা মণীশ ত্রেহানকে ১.৬ কোটি টাকা তাত্ক্ষণিক নগদ অর্থ প্রদানের জন্য বাধ্য করেছিলেন। দেশমুখের দাবি ত্রেহান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।