Sabyasachi Chowdhury: সব্যসাচী এবার গোয়েন্দা.. রহস্য খুঁজবেন জয়সলমীরের সোনার কেল্লায়!
Jaisalmer Jomjomat: সত্যজিৎ রায়ের 'সোনার কেল্লা' -কে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেই এই নতুন ওয়েব সিরিজ, নাম 'জয়সলমীর জমজমাট'

কলকাতা: এবার গোয়েন্দা অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীতে সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। গল্প, চিত্রনাট্য, চিত্রগ্রহণ, সম্পাদনা, সঙ্গীত ও পরিচালনায় অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন, মেঘলা দাশগুপ্ত, অভিষেক সিংহ, দেবতনু, অমৃতা দেবনাথ, দেবাশীষ নাথ, শাহির রাজ, মৌমিতা পাল, রাজদীপ পাল, সৌমিত্র বসু, সৌম্য মুখোপাধ্যায়, স্বর্ণাভ সাধুখা, প্রতীক রায় এবং ওঙ্কার ভট্টাচার্য ও অন্যান্যরা। ওয়েব সিরিজটির প্রযোজক ওহেন্দ্রিলা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব্যসাচীর চরিত্রের নাম নীলাঞ্জন। সিরিজটি মুক্তি পাবে ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।
সত্যজিৎ রায়ের 'সোনার কেল্লা' -কে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেই এই নতুন ওয়েব সিরিজ, নাম 'জয়সলমীর জমজমাট'। বিখ্যাত গোয়েন্দা কাহিনি 'সোনার কেল্লা' থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, এক বাঙালি পরিবার জয়সলমীর-এ বেড়াতে যায় । রজতবাবু, যিনি একজন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, 'সোনার কেল্লা'-র গল্পের রহস্যময় মুকুলের বাড়ি দেখতে উদ্গ্রীব। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, কন্যা ও ছোট পুত্র। কিন্তু গল্প অগ্রসর হতেই, ছুটির আনন্দে কালো ছায়া পড়ে - যখন একটি মাদক দ্রব্যের প্যাকেট হারিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তারা পড়ে যায় এক ভয়ঙ্কর চক্রের ফাঁদে। পরিবারটি যখন বাঁচার লড়াইয়ে নেমে পড়ে, একের পর এক গোপন রহস্য ফাঁস হতে থাকে, আর ভালোবাসার হয় কঠিন পরীক্ষা। মরুভূমিতে বেড়াতে এসে তাঁরা কি বেঁচে ফিরতে পারবেন? সেই গল্পই দেখা যাবে এই ৫ পর্বের ওয়েব সিরিজে।
এই কাজটি নিয়ে সব্যসাচী বলছেন, 'একজন অভিনেতা হিসেবে, এত বছর ধরে আমি বহু জায়গায় কাজ করেছি। কিন্তু তাদের মধ্যে 'জয়সলমীর জমজমাট' ছিল নিঃসন্দেহে সবচেয়ে আলাদা ও অত্যন্ত আনন্দদায়ক এক অভিজ্ঞতা। এই সিরিজে আমার চরিত্রের দুটি দিক রয়েছে — প্রথম দিকটা অনেকটাই আমার সঙ্গে মেলে। কিন্তু দ্বিতীয় দিকটা একেবারেই ভিন্ন। চরিত্রটি ছিল যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং, বিশেষ করে ভৌগোলিক পরিস্থিতি, প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়া ও অন্যান্য বাস্তবিক প্রতিবন্ধকতা মাথায় রেখে কাজটা করতে হয়েছে।'
সব্যসাচী আরও বলেছেন, 'আজও মনে পড়ে, একদিন যখন গোটা ইউনিট ছাদের উপর শ্যুটিং করছিল, ঠিক তখনই সোনার কেল্লার পশ্চিম দিকে সূর্য ডুবে যাচ্ছিল, সেই মুহূর্তটাই যেন এক যাদুকরী অভিজ্ঞতা হয়ে রয়ে গিয়েছে হৃদয়ে। জয়সলমীরের সোনালি দুর্গ সবসময়ই আমার প্রিয় ছুটি কাটানোর জায়গা। এর আগে আমি বেলুড়মঠ থেকে মোটরবাইকে চেপে সেখানে গিয়েছি। তবে তখন কল্পনাও করিনি যে তিন বছর পর আবার সেখানে ফিরে যাব, টানা ১৬ দিনের জন্য! সোনার কেল্লার ছাদে রাত ৩টেয় শ্যুট করা সত্যিই রোমাঞ্চকর ছিল। তখন জানুয়ারি মাস, আর রাজস্থানের আবহাওয়া ছিল বেশ কঠিন। তবুও, গোটা অভিজ্ঞতা এতটাই গভীর ও স্মরণীয়, যে তা চিরকাল মনের মধ্যে গেঁথে থাকবে।'






















