Poila Baisakh: 'কলকাতায় আসার পরে আর হালখাতার মিষ্টি খাইনি', নববর্ষে আফশোস আরাত্রিকার
Poila Baisakh Special: 'আগে নববর্ষ মানেই সকালে উঠে নতুন জামা পরে পুজো দিয়ে আসা হবে। মা ভাল কিছু রান্না করবেন, তারপর সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করা হবে।'
কলকাতা: ছোটবেলার নববর্ষের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল, নতুন জামা। নিজের ঘরে যেন সবচেয়ে ভাল ক্যালেন্ডারটা লাগানো হয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে নববর্ষের রূপ, গন্ধ.. কিন্তু নতুন বছর এখনও তাঁর কাছে খুব বিশেষ। এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে নববর্ষের গল্প ভাগ করে নিলেন জি বাংলার 'খেলনাবাড়ি' ধারাবাহিকের মিতুল ওরফে আরাত্রিকা মাইতি।
নববর্ষ আর হালখাতা.. এই দুইকে আলাদা করা যায় না এখনও। আরাত্রিকা বলছেন, 'ছোটবেলার নববর্ষ মানেই ছিল বাবা মায়ের সঙ্গে দোকানে দোকানে গিয়ে মিষ্টি খাওয়া। আর আরও একটা সখ ছিল আমার। ক্যালেন্ডার জমানো। কোনওটার ডিজাইন ভাল, কোনোটার ছবি। বেছে বেছে সবচেয়ে ভালো ক্যালেন্ডারটা নিজের ঘরে লাগাতেই হবে। তবে গত ২ বছরে নববর্ষ বদলে গিয়েছে অনেকটা। এখন এই দিনটা শ্যুটিংয়েই কাটে। আমরা নতুন জামা পড়ে শ্যুটিংয়ে আসি। তবে নতুন জামা নিজে পরার চেয়ে পরানোর আনন্দ যেন আরও বেশি। আমি চেষ্টা করি, বাবা-মা আরও অন্যান্যদের নববর্ষের একটা করে হলেও জামা কিনে দিতে। নিজে উপার্জন করার পরে প্রত্যেক বছরই মা-কে শাড়ি আর বাবাকে জামাকাপড় কিনে দিয়েছি।'
তবে নববর্ষে বাড়ি থাকা হয় না বলে আরাত্রিকার গলায় একটু আফশোস। বললেন, 'আগে নববর্ষ মানেই সকালে উঠে নতুন জামা পরে পুজো দিয়ে আসা হবে। মা ভাল কিছু রান্না করবেন, তারপর সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করা হবে। সেই সময়টা এখন আর দিতে পারি না। রাতটুকুই যেটুকু পরিবারের সঙ্গে কাটানোর সময় পা। তবে শ্যুটিং সেটেও একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়। ছোটবেলায় পাড়ায় অনুষ্ঠান হত। সেটা নিয়ে ভীষণ আগ্রহ থাকত আমার। এখন সেটা ভীষণ মিস করি।'
যদি নববর্ষে নিজের কাছে ৩টে শপথ করতে বলা হয়? আরাত্রিকা বলছেন, 'আমি যে কোনও কিছুর সঙ্গে ভীষণ মানসিকভাবে যুক্ত হয়ে পড়ি। ভীষণ আবেগপ্রবণ আমি। মানুষকে বিশ্বাস করব, কিন্তু কারও সঙ্গে মানসিকভাবে জড়িয়ে পড়ে তারপর কষ্ট পাব না। আর আমার মন খারাপ না আনন্দ হয়েছে সেটা আমার সামনের মানুষ আমায় দেখে সহজেই বুঝে যান। চেষ্টা করব এত আবেগপ্রবণ না হতে। আর নিজের কাজ নিয়ে, অভিনয় নিয়ে গলা নিয়ে আরও বেশি করে খাটব।'
কলকাতায় আসার পর থেকে আর হালখাতায় যাওয়া হয়নি আরাত্রিকার। অভিনেত্রী বলছেন, 'আমাদের বাড়িতে পুজো হত, তারপর হালখাতায় যাওয়া। সবাই মিলে একসঙ্গে রান্না করে খাওয়া, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো.. এই উষ্ণতা আর এখনকার নববর্ষে পাই না। কলকাতায় আসার পর থেকে আমি আর হালখাতার মিষ্টি খাইনি। এখানে খালি রেস্তোরাঁয় ভিড় হয়। কিন্তু সেই উষ্ণতাটা পাই না আর।'