Prosenjit Chatterjee: নন্দনে মাটিতে গড়াচ্ছে 'রঘু ডাকাত'-এর পোস্টার, দেখতে পেয়েই কী করলেন প্রসেনজিৎ?
Raghu Dakat: নন্দনে ঢুকতে গিয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় দেখেন, দেবের ছবি 'রঘু ডাকাত'-এর একটি প্ল্যাকার্ড খুলে পড়ে রয়েছে মাটিতে।

কলকাতা: এই ছবি যেন সৌহার্দের, এই ছবি যেন একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর। পুজোয় মুক্তি পেয়েছে ৪টে বাংলা ছবি। রঘু ডাকাত (Raghu Dakat), রক্তবীজ ২ (Roktobeej 2), দেবী চৌধুরানী (Devi Chowdhurani) আর যত কাণ্ড কলকাতাতেই। চারটি সিনেমাই সিনেমাহলে ব্য়বসা করছে। কেউ কম তো কেউ বেশি। তবে 'রক্তবীজ ২' এগিয়ে নাকি 'রঘু ডাকাত', এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বিতর্ক জারি রয়েছে। এর মধ্যেই দেখা গেল, বন্ধুতার ছবি। আজ, নন্দনে 'দেবী চৌধুরানী' সিনেমার জন্য হল ভিজিট-এ গিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। আর সেখানেই তিনি নজির সৃষ্টি করলেন বন্ধুতার।
নন্দনে ঢুকতে গিয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় দেখেন, দেবের ছবি 'রঘু ডাকাত'-এর একটি প্ল্যাকার্ড খুলে পড়ে রয়েছে মাটিতে। যে কোনও সময়ে এদিক ওদিক হয়ে যেতে পারে, পায়েও লেগে যেতে পারে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিজে হাতেই তিনি প্ল্যাকার্ডটি ফের তুলে স্বস্থানে দাঁড় করান। তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর সঙ্গে থাকা সহকারীরাও। যে সিনেমার সঙ্গে তাঁর লড়াই চলছে বক্সঅফিসে, সেই সিনেমার পোস্টারই ফের ঠিক করে লাগিয়ে দিলেন প্রসেনজিৎ। তারপরে ঢুকলেন দর্শকদের সঙ্গে দেখা করতে, তাঁর দেবী চৌধুরানী ছবির জন্য।
এর আগে, এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ দেবের বেঙ্গল ট্যুর প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'অনেকেই হয়তো জানেন না, আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগেও, আমরা এভাবেই দর্শকদের কাছে পৌঁছে যেতাম। তবে মানুষের কাছে পৌঁছনোর এই ধারাটা নতুন। দেবকে আমি তার জন্য স্যালুট দিই। দেব অনেক বছর ওর দর্শক থেকে সরে গিয়েছিল। আমি ওর বয়সে থাকলে এটাই করতাম। ওর এই বুদ্ধ, এই প্যাশনটাকে আমি স্যালুট করি। ও আমার থেকে ছোট হলেও ওকে সম্মান করি। ও নিজেই ওর দর্শকদের থেকে সরেছিল। ওকে কেউ সরায়নি। ও যখন মনে করল, আমি এই ধরণের একটা ছবি করব, আমি যখন প্রতিবাদ করব, আমায় ওদের কাছেই প্রথমে ফিরে যেতে হবে। জানাতে হবে, আমি প্রতিবাদ করছি। দেব ওটাই করেছে। ও যখন হাতে খাঁড়াটা নিয়েছে, ও জানে ওকে কোন দর্শককে বিনোদন দিতে হবে। আমরা (টিম দেবী চৌধুরানী) এখনও অবধি যে যে জায়গায় গিয়েছি, আমরা আমাদের অধিকাংশ ছবি মুক্তির আগে ওই জায়গাগুলোয় যাই। উত্তরবঙ্গে আমরা গিয়েছি তার একটা বিশেষ কারণ আছে। কিছুদিন আগে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী দেবী চৌধুরানী মন্দিরটাকে সংস্কার করেছেন। ওটা ছাড়া, আমরা মোটেই বেঙ্গল ট্যুর হিসেবে ভাবিনি। তবে কিছু কিছু জায়গায় এখন বাংলা ছবির হল খুলছে, যেখানে আগে ছিল না। আমরা আগে কলকাতাকে মাথায় রেখে প্রচার করতাম। কিন্তু যেখানে যেখানে হল খুলছে, সেখানকার দর্শকদেরও তো জানাতে হবে যে আমাদের ছবিটা আসছে। এটা কপি নয়। তবে যারা বলছে, বলতে পারেন। এখন তো বলার কোনও শেষ নেই। তবে আমি যদি মনে করি, একটা ভাল জিনিস কেউ করছে, আমি তাকে অনুকরণ করব, তাহলে অন্যায়টা কোথায়?'























