Rashid Khan Demise: 'প্রত্যেক বছর ভাইফোঁটা দিতাম', স্মৃতি ঘাঁটতে গিয়ে আবেগঘন হৈমন্তী শুক্লা, শোকপ্রকাশ জোজো-অনুপমের
Rashid Khan Death: মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রাশিদ খান। বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৫ বছর।
কলকাতা: বছর শুরুতেই মৃত্যু সংবাদ। থামল সুরের সফর। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রাশিদ খান (Rashid Khan Demise)। মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি প্রয়াত হলেন তিনি। শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাশিদ খানের প্রয়াণে শোকের ছায়া সঙ্গীত জগতে।
প্রয়াত রাশিদ খান, শোকস্তব্ধ সঙ্গীত জগৎ
রাশিদ খানের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সঙ্গীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার (Haimanti Shukla)। দিদি ভাইয়ের মতো সম্পর্ক ছিল। এদিন শোকস্তব্ধ হৈমন্তী শুক্লা বলেন, 'উস্তাদ রাশিদ খান ছিল বটে কিন্তু ওঁকে কখনও উস্তাদের মতো পেতাম না। ও আমার ছোট ভাইয়ের মতো ছিল। প্রত্যেক বছর ভাইফোঁটা দিতাম। আমার বাড়িতে যাতায়াত করত। সে অনেক স্মৃতি। এখন সেগুলি বলার মতো মনের অবস্থা নেই। ও এতবড় উস্তাদ শিল্পী ছিল কিন্তু সব শিল্পীদের ভীষণ ভালবাসত। গাড়িতে একসঙ্গে কোথাও গেলে আমরা গান গাইতে গাইতে যেতাম। শুধু দিদি বলে ডাকা নয়, আমাকে ভীষণ সম্মান করত। বড্ড ভাল মানুষ ছিল। বড্ড ভাল স্বভাব ছিল ওর। আমরা যে কী হারালাম! আমি শুধু এটাই বলব যে ঈশ্বর ওঁকে কোলে করে নিয়েছেন, যেন ওঁকে ভাল রাখেন সুস্থ রাখেন।' কথা বলতে বলতে ফোনের ওপারেই তখন অঝোরে কাঁদছেন শিল্পী।
এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী অনুপম রায় (Anupam Roy) দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, 'ভীষণই দুঃখজনক। অসুস্থ ছিলেন জানতাম কিন্তু এত অল্প বয়সে ছেড়ে চলে যাবেন, এই সঙ্গীত ভুবনকে অন্ধকারে ফেলে চলে যাবেন, সেটা কেউ আমরা আশা করিনি। পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। এটা সঙ্গীত জগতের বিশাল ক্ষতি।' শোকপ্রকাশ করেন শিল্পী জোজো (Jojo)। তাঁর কথায়, 'আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না। অসুস্থ ছিলেন জানতাম, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের খবর। সঙ্গীত জগতের বিশাল বড় ক্ষতি।' প্রয়াণের খবরে স্তম্ভিত ইমন (Iman Chakraborty)। বিশেষ কিছু বলতে চাননি শোকস্তব্ধ ইমন চক্রবর্তী। বারবার তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আমি তো ভাবতেই পারছি না। আমি অত্যন্ত দুঃখিত। ক্ষমা করবেন আমি কিছু বলতে পারব না।'
এদিন হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে রাশিদ খানের পরিবারকে পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রাশিদ আলি খান বিশ্বখ্যাত এক নাম, তাঁর নতুন করে পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। শিল্পী হিসেবে তাঁকে বলা যেতে পারে 'সঙ্গীত সম্রাট'। উত্তরপ্রদেশ তাঁর জন্মস্থান হলেও বাংলাকে ভালবেসে চিরকাল বঙ্গেই থেকে গেছেন। বিশ্বের এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে তিনি সঙ্গীতের প্রচার করেননি। ওঁর ছেলেও ভীষণ ভাল গান গায়, খুব সুন্দর করে ছেলেকে তৈরি করেছেন।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।