Rituparna Sengupta: বাড়িতেই মায়ের স্মরণসভার আয়োজন, সমস্ত দায়িত্ব একা হাতে পালন করলেন ঋতুপর্ণা
Rituparna Sengupta News: ব্যক্তিজীবনে মায়ের কতটা প্রভাব ছিল ঋতুপর্ণার ওপর? নায়িকা ঋতুপর্ণা কতটা স্নেহ আর কতটা শাসন পেতেন মায়ের কাছে?
কলকাতা: সদ্যই মাতৃবিয়োগ হয়েছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের (Rituparna Sengupta)। আর বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে মায়ের স্মরণসভার আয়োজন করলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা। সাদা মালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছিল গোটা ঘর। মায়ের স্মরণে এদিন ঋতুপর্ণার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁর কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবেরা। হাজির ছিলেন চৈতি ঘোষাল। প্রত্যেকেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন অভিনেত্রীর মায়ের উদ্দেশে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়ের স্মরণসভার ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ঋতুপর্ণার (Tollywood Actress) মা। সূত্রের খবর, অক্টোবর মাসের শেষদিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রীর মা নন্দিতা সেনগুপ্ত। দিন ১৫ ছিলেন হাসপাতালে। কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। চলছিল ডায়ালিসিসও। এর আগেও হাসপাতালে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু এবার আর বাড়ি ফেরা হল না। অসুস্থতার সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানলেন অভিনেত্রীর মা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই মায়ের প্রয়াণের খবর জানিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। আর এবার মায়ের স্মরণসভা নিজের বাড়িতেই আয়োজন করলেন ঋতুপর্ণা।
ব্যক্তিজীবনে মায়ের কতটা প্রভাব ছিল ঋতুপর্ণার ওপর? নায়িকা ঋতুপর্ণা কতটা স্নেহ আর কতটা শাসন পেতেন মায়ের কাছে? এবিপি আনন্দকে (ABP Ananda) দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই গল্প শুনিয়েছিলেন খোদ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তই। সেই সময়ে দাবাড়ু-র প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন ঋতুপর্ণা। এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ঋতুপর্ণা বলেছিলেন, 'আমার মা কিন্তু ভীষণ কড়া। এখনও মা আমায় ভীষণ শাসন করে। অভিমান করেন, রেগে যান, দুঃখ করেন। ফোন না করলে ভীষণ রেগে যান, বলেন, 'আমায় আর আসতে হবে না। ফোন করতে হবে না।' মায়ের সেই শাসনটা আজও রয়েছে। মা বলেছিলেন, 'ভেবো না তুমি খুব বড় হিরোইন বা সেলিব্রিটি হয়ে গিয়েছো! তুমি আমার কাছে এখনও আমার সেই মেয়েই রয়েছো' এই সমস্ত জিনিসগুলো আমাদের পরিবারে এখনও বজায় রয়েছে।'
ঋতুপর্ণা আরও বলেছিলেন, 'আমার মা আমার জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করেছেন। একটা সময়ে মা আমার সঙ্গে অনেক শ্যুটিংয়েও যেতেন। অনেক সময়ে নিজেদের জীবনকেও কেউ ফিরে দেখে না সন্তানদের জন্য। আজকের দিনে বাবা-মায়েরা এইসমস্ত কথা অনেক ভাবেন। তাঁরা শুধুই বাচ্চার জন্য বাঁচেন না। তাঁরা নিজেদের জীবন নিয়েও যথেষ্ট সচেতন। কিন্তু আমাদের মায়েরা অবধি, তাঁরা কিন্তু সন্তান আর সংসারের জন্য বেঁচেছেন। সংসার আর সন্তান হল মূল জায়গা। মায়েরা সবসময়েই জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়। কথায় বলে না, মায়ের পায়ে হচ্ছে পৃথিবী। মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে নেওয়া মানেই সমস্ত ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে নেওয়া।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।