Roktopolash: জঙ্গলমহলের প্রেক্ষাপটে কমলেশ্বরের ওয়েব সিরিজ রক্তপলাশ, প্রকাশ্যে প্রথম পোস্টার
Roktopolash: ওয়েব সিরিজের প্রেক্ষাপট প্রকাশ পেয়েছিল আগেই। আর এবার প্রকাশ পেল কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'রক্তপলাশ' সিরিজের প্রথম পোস্টার।
কলকাতা: ওয়েব সিরিজের প্রেক্ষাপট প্রকাশ পেয়েছিল আগেই। আর এবার প্রকাশ পেল কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'রক্তপলাশ' সিরিজের প্রথম পোস্টার। তবে এই সিরিজে সব অভিনেতা অভিনেত্রীদের দেখা না গেলেও, স্পষ্ট হল ছবির প্রেক্ষাপট। ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ছুটে যাচ্ছে একরত্তি একটি মেয়ে। তার চোখে মুখে ভয়ের ছাপ। পিছনে হাতে বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে দুজন। তাঁদের পরিচয় অবশ্য স্পষ্ট নয়।
এবার রাজনৈতিক ওয়েব সিরিজ পরিচালনায় কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleshwar Mukherjee) পরিচিত ছক ভেঙে এই সিরিজে তুলে ধরেছেন জঙ্গলমহল ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে। ওয়েব সিরিজের চরিত্রায়ণেও বৈচিত্র্য। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন শিলাজিৎ (Shilajit), দেবদূত ঘোষ (Debdut Ghosh), অনন্যা সেনগুপ্ত (Ananya Sengupta)। তা ছাড়াও এই সিরিজে অভিনয় করছেন উৎসব মুখোপাধ্যায়, রোজা পারমিতা দে, অসীম রায় চৌধুরী, শুভজিত কর, মৌমিতা পণ্ডিত, দীপঙ্কর, মৌসুমি দালাল, বেবি তামান্না, কোয়েল মিত্র, সুব্রত দাশগুপ্ত।
আরও পড়ুন: Dev Rukmini: শট দিতে গিয়ে বার বার ভুল, 'কিশমিশ'-এর শ্যুটিংয়ে রুক্মিণীর কাণ্ড ফাঁস করলেন দেব!
'রক্তপলাশ'-এর গল্পের প্রেক্ষাপট
জঙ্গলমহলে অবস্থিত সুরম্য ফক্সহোল রিসর্টে বেড়াতে আসা সমাজের সাতজন বিশিষ্ট উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় 'রক্তপলাশ' সিরিজের গল্প । শুরুতে সবাই ভ্রমণবিলাসে মজে গেলেও, নৈশ আড্ডায় রিসোর্ট মালিকের প্ররোচনায় গল্পের পরতে পরতে সেই বিশিষ্টজনেদের অতীত জীবনের লুকনো অন্যায় ও অপরাধমূলক কাজকর্মের ইতিহাস সামনে আসে দর্শকের।
এরই মধ্যে জঙ্গলে নিছক ছুটি কাটাতে আসা, আপাতভাবে নিষ্পাপ মানুষগুলি হঠাৎ করেই আধাসামরিক বাহিনী ও একদল চরমপন্থীর লড়াইয়ে মাঝে পড়ে । তখনই সভ্য যাপনের শহুরে মুখোশ খুলে গিয়ে তাঁদের ভেতরে থাকা স্বার্থপর জান্তব চারিত্রিক বৈশিষ্টগুলো ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে । সাতজন ব্যক্তিমানুষের আভ্যন্তরীণ সাদা-কালোর দ্বন্দগুলো উন্মুক্ত হতে না হতেই তারা রিসোর্টে বন্দি হয়ে পড়েন মুক্তিপণের টোপ হিসেবে।
প্রশ্ন ওঠে একজোট হয়ে সাতজনের বাঁচার লড়াইয়ে সামিল হবার । চরমপন্থীরা সময় দেয় ঘন্টা চারেক। প্রশাসনের তরফে নিযুক্ত হন এক সরকারি মধ্যস্থতাকারী। কিন্তু সে সাত বিশিষ্টজনের অবস্থা হয় সঙ্গীন। তাঁদের মধ্যে কেই বা করলেন বিশ্বাসঘাতকতা ? কি ছিল তাঁদের পুরোনো পাপ ? কেনই বা তাঁদের পণবন্দী হতে হলো চরমপন্থীদের হাতে? কীভাবে প্রশাসন পৌঁছবে তাঁদের কাছে ? বন্দিরা কি আদৌ চরমপন্থীদের হাত থেকে রেহাই পাবেন? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে 'রক্তপলাশ'-এ।