Saayoni Ghosh Exclusive: আমি নিজেকে তারকা বলে মনে করি না: সায়নী ঘোষ
Actress Saayoni Ghosh Exclusive: 'যত মানুষের সংস্পর্শে আমি আসছি, একজন মানুষ হিসেবে আমি তত সমৃদ্ধ হচ্ছি। সেটা শুধু আমার অভিনয় নয়, আমার জীবনে চলার পথেও সাহায্য করছে।'
কলকাতা: ছবির বাজেট কম, শ্যুটিংয়ে অনেক অসুবিধা.. কিন্তু অভিনেতা অভিনেত্রীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যদি একটা ভাল ছবি দর্শকদের উপহার দেওয়া যায়, তাহলে মানিয়ে নেওয়া যায় সব অসুবিধাই। শিল্পীসত্তার খিদে মেটানোর জন্যই যেন এই ছবিতে অভিনয়ে রাজি হওয়া। 'সিটি অফ জ্যাকেলস' (City of Jackals)-এর শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে রাজনীতি, অভিনয় জীবন, এবিপি লাইভে অকপট সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)।
দীর্ঘদিনের অভিনয় কেরিয়ার, কিন্তু রাজনীতি কী অভিনেত্রী সায়নীকে আরও সমৃদ্ধ করল? অভিনেত্রী বলছেন, 'গত ১৪-১৫ বছর ধরে আমি সাংবাদিক, বস্তির মেয়ে, চিকিৎসক একা মা, সাধারণ মেয়ে.. পর্দায় সব জীবনই বেঁচে নিয়েছি। বিজয়া রায়ের চরিত্রেও অভিনয় করলাম। কিন্তু রাজনীতি করতে গিয়ে আরও বেশি মানুষের সান্নিধ্যে আসতে হচ্ছে। এখন তো নানা ভাষাভাষি, নানারকম পেশা, নানা রঙের মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় দেখা হয়, কথাবার্তা হয়। এগুলো পর্দায় বিভিন্ন চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। অভিনয় করার জন্য মানুষকে বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যত মানুষের সংস্পর্শে আমি আসছি, একজন মানুষ হিসেবে আমি তত সমৃদ্ধ হচ্ছি। সেটা শুধু আমার অভিনয় নয়, আমার জীবনে চলার পথেও সাহায্য করছে।'
আরও পড়ুন: Bollywood News: পিছনের সারির এই খুদেই এখন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা! চিনতে পারছেন?
'সিটি অফ জ্যাকেলস'-এর শ্যুটিং সহজ ছিল না। যথেষ্ট প্রতিবন্ধকতার মধ্যে কাজ করতে হয়েছে অভিনেতা অভিনেত্রীদের। সায়নীর এই ছবিতে কাজ করার জন্য রাজি হওয়ার কারণ? অভিনেত্রী বলছেন, 'আমার জীবনের মতো , কাজের মতো ছবির চরিত্রেও ওঠা পড়া থাকে। তবে 'সিটি অফ জ্যাকেলস' -এর শ্যুটিং সত্যিই কঠিন ছিল। খুব অদ্ভুত লোকেশানে আমরা শ্যুটিং করেছি। প্রথম থেকেই রিনো বলেছিল খুব বেশি টাকা ও দিতে পারবে না। মেক আপ ভ্যান, প্রযোজনা সংস্থার ৫টা লোক থাকবে না। কিন্তু আমরা, অভিনেতা অভিনেত্রীরা বলেছিলাম, যদি একটা ভাল ছবি তৈরি করতে পারি সবাই মিলে, তাহলে অনেক অসুবিধা মানিয়ে নেওয়া যায়। শিল্পী হিসেবে ভাল ছবিটাই পাওয়া। রাস্তার মধ্যে গিয়ে শ্যুটিং করতে হত, যে বাড়িতে শ্যুটিং করছি, তার নিচেই ২টো চেয়ার পেতে আমি, জয়দা সবাই বসে গল্প করতাম। মেকআপ ভ্যান নেই, কাপড় টাঙিয়ে পোশাক পরিবর্তনের ঘর করা হত। রাস্তায় বা ঘরের জানলার পাশে বসে হাতে একটা ছোট আয়না নিয়ে মেকআপ করে দিতেন শিল্পীরা। কিন্তু আমি রিনোর (পরিচালক) ওপর চাপ দিতে চাইনি। নিজেকে বড় তারকা বলে মনে করি না আমি। বাহ্যিক বিষয়ের থেকে অভিনয় নিয়ে আমার বেশি আগ্রহ। কিন্তু রিনো খুব সহযোগীতা করেছে।