Saswata Chatterjee Update: ডায়লগ শুনে এমন হেসেছিলাম যে শ্যুটিং থামিয়ে দিতে হয়েছিল ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কে: শাশ্বত
Saswata Chatterjee on Bhanu Banerjee: আরও একটি ঘটনার কথা বললেন শাশ্বত। অভিনেতার কথায়, 'তখন সদ্য আমার ভাই হয়েছে। হাসপাতালে হঠাৎ একদিন খুব হুড়োহুড়ি। চিকিৎসক, নার্সেরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন...
কলকাতা: তাঁর বাবা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে চিরকাল নাকি ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ডাকতেন শুয়োর বলে। আর তাঁকে? সোজা হিসেব.. '..... বাচ্চা'। এমনই রসবোধ ছিল ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যাঁকে দেখে বড় হয়েছেন তিনি, তাঁর চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা তো নেহাৎ সহজ নয়। তার ওপর যার সঙ্গে বাঙালির আবেগ জড়িয়ে থাকে, পর্দায় তাঁকে ফুটিয়ে তোলা তো আরোই কঠিন। এই ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কীভাবে প্রথম আলাপ হয়েছিল শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের (Saswata Chatterjee)? দক্ষিণ কলকাতার রঙিন কাচে মোড়া রেস্তোরাঁয় বসে এবিপি লাইভকে সেই গল্পই শোনাচ্ছিলেন শাশ্বত।
সালটা সম্ভবত ১৯৭৯। 'নিধিরাম সর্দার' বলে একটি ছবির সেটে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম দেখা শাশ্বতর। অভিনেতা বলছেন, 'ভানুজ্যেঠু একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আমি শ্যুটিং দেখতে গিয়েছিলাম। শটটা তখন নেবে। কিন্তু ওঁকে দেখে আর ওঁর সংলাপ শুনেই ততক্ষণে আমি হেসে ফেলেছি। আমার হাসির শব্দ ক্যামেরায় ধরা পড়ে, শটটা বাতিল হয়ে যায়। ভানুজ্যেঠু শ্যুটিং থামিয়ে বলেন, 'এই কে হাসল রে'? সবাই বললেন, 'শুভেন্দুদার ছেলে'। ভানুজ্যেঠুর তদক্ষণাৎ উত্তর.. 'ও ওই .... বাচ্চাটা হাসছে..' আমি তো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। পরে বলেছিলেন, 'তোর বাবাকে আমি আদর কইব়্যা শুয়োর কই। তুই .... বাচ্চা'।
আরও একটি ঘটনার কথা বললেন শাশ্বত। অভিনেতার কথায়, 'তখন সদ্য আমার ভাই হয়েছে। হাসপাতালে হঠাৎ একদিন খুব হুড়োহুড়ি। চিকিৎসক, নার্সেরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন। আর তার মধ্যে একজনের গলা শুনতে পাচ্ছি.. 'ওই .... বাচ্চাটা কোন ঘরে আছে'? দেখি ভানুজ্যেঠু এসেছেন ভাইকে দেখতে। আর তাঁকে ঘিরে সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে। আসলে বাবাকে নিজের ভাইয়ের মতোই ভালোবাসতেন ভানুজ্যেঠু। চোখের সামনে ওদের এই সম্পর্কটা দেখেই তো আমি বড় হয়েছি।'
পর্দায় তিনিই ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গোটা বাঙালি জাতির কাছে আবেগ যে চরিত্র, তাঁকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা কী এতই সহজ? শাশ্বত বলছেন, 'খুবই ভয়ের ছিল। আমি তো প্রথমে বলেছিলাম গৌতমদাকে অভিনয় করতে। গৌতমদা মানে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় ছেলে। দেখতেও অনেকটা ওঁরই মতো। ওনাকে বলাতেই উনি বলে উঠলেন.. 'না না আমি কী করে করব তুমিই করো'। চাপে ছিলাম অস্বীকার করার জায়গা নেই। তবে ছবিটা শেষ করার পরে একটা স্পেশাল স্ক্রিনিং করি। ওঁর বড় ছেলে এবং মেয়ে দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা খুশি হয়েছেন আর আমরাও হালকা হয়েছি মানসিকভাবে। গৌতমদা তো বললেন, 'মনে হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায় বাবাকেই দেখছি'। এর থেকে বড় পাওনা আর কি হতে পারে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।