Sayani Palit: বেগম আখতারের ঠুমরিতে আবারও শ্রোতাদের মন জয় করলেন সায়নী পালিত
Sayani Palit: প্রকাশ্য়ে এল সায়নী পালিতের নতুন মিউজিক ভিডিও।
কলকাতা: বেগম আখতারের বিখ্য়াত ঠুমরি 'হামারি আতারিয়া পে'কে এবার নতুন ভাবে শ্রোতাদের সামনে হাজির করলেন সায়নী পালিত। কেমন ছিল এই সুরেলা সফরের অভিজ্ঞতা। সেটাই এবিপি লাইভের সঙ্গে শেয়ার করলেন তিনি।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সঙ্গীতশিল্পী সায়নী পালিত নতুন গান 'হামারি আতারিয়া পে'। বেগম আখতারের বিখ্য়াত এই ঠুমরিকে নিজস্ব গায়কীতে তুলে ধরেছেন সায়নী। এই প্রসঙ্গে সায়নী জানিয়েছেন যে, বহু বছর ধরে প্লেব্য়াক সিঙ্গার হিসেবে কাজ করার পরও নিজস্ব কিছু সৃষ্টি করার যে তাগিদ তা থেকেই এই তৈরি হয়েছে এই গান। শিল্পীর মতে, অনেক বিখ্য়াত গান আছে যেগুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে এগুলোকে নতুনভাবে তুলে ধরার জন্য তাঁর এই প্রচেষ্টা বলে জানান তিনি। নিজের টিমের সঙ্গে সম্পূর্ণ নিজের উদ্য়োগে এই গান গেয়েছেন সায়নী। নতুন প্রজন্মের শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য়ই তাঁর এই উদ্য়োগ বলে দাবি সঙ্গীতশিল্পীর।
আরও পড়ুন...
ফের অ্যাকশন অবতারে শাহিদ কপূর, প্রকাশ্যে 'ব্লাডি ড্যাডি'র টিজার
প্রসঙ্গত, গতবছরই মুক্তি পেয়েছিল সায়নী পালিতের গান 'জিন্দেগি'। লকডাউনের সময় অনলাইনে ছাত্র-ছাত্রীদের তিনি গান শিখিয়েছেন, তাঁদের নিয়েই তিনি তৈরি করেছিলেন মিউজিক ভিডিও।
সায়নী বলেছিলেন, 'ক্লাসের সবার বয়স ৫ থেকে ৬০-এর মধ্যে। ওদের সবাইকে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দিয়ে মিউজিক ভিডিও তৈরি করা সহজ ছিল না। স্টুডিও নেই, কাউকে সামনে গিয়ে শেখানো যাচ্ছে না কিছু। কিন্তু স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে এই প্রয়াসটা করেছিলাম আমরা। থিম ছিল 'বন্দে মাতরম' গানটা। দর্শকদের থেকে ভালোই প্রতিক্রিয়া পেয়েছে।'
গত ১০ বছর ধরে একাধিক প্লে-ব্যাকের কাজ করেছেন সায়নী। পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Ajoy Chakrabarty), গিরিজা দেবীর (Girija Devi)-র প্রথাগত গানের শিক্ষা নিয়েছেন সায়নী। মুম্বইয়ের একাধিক শিল্পীর সঙ্গেও কাজ করেছেন সায়নী। তবে চিরকাল মনে থাকবে শঙ্কর-এহসান-লয় (Shankar–Ehsaan–Loy)-এর প্রথম রেকর্ডিং-এর অভিজ্ঞতা।
সেই অভিজ্ঞতার স্মৃতি হাতড়ে সায়নী বলেছিলেন, 'রিয়্যালিটি শো-এ বিজেতা হওয়ার পরে কথা ছিল আমি শঙ্কর-এহসান-লয়-এর সঙ্গে গান গাইব। হঠাৎ একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে ওনাদের সঙ্গে দেখা হয়। ওনারা হঠাৎ বলেন, গান রেকর্ড করতে। তখনই। আমার কোনও প্রস্তুতি ছিল না। ওনারা বলেন, প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই, নিজের মতো করে গাইতে। ১ ঘণ্টার মধ্যে খুব সুন্দর করে রেকর্ডিং হয়ে গেল গানটা। ওই অভিজ্ঞতাটা ভুলব না কখনও।'