Sudeshna Roy: টলিউডে ফের অসহযোগিতার অভিযোগ, এবার শ্যুটিং করতে গিয়ে সমস্যার মুখে সুদেষ্ণা রায়
Tollywood Controversy: সুদেষ্ণা জানাচ্ছেন, উত্তর কলকাতার নির্দিষ্ট বাড়িতে পৌঁছে তিনি দেখেন, তাঁর গোটা টিম, যাঁদের সঙ্গে তিনি গত ২ বছর কাজ করছেন, তাঁরা কেউ আসেননি।

কলকাতা: টলিপাড়ার অশান্তি যেন শান্ত হতে হতেও হচ্ছে না। ফের কাজে বাধার মুখে আরও এক পরিচালক। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, শ্রীজিৎ রায়ের সঙ্গে এবার নাম জুড়ল পরিচালক সুদেষ্ণা রায়ের ও। আজ থেকে তাঁর নতুন ছবি 'স্বপ্ন হলেও সত্যি'-র শ্যুটিংয়ের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার কাজ ছিল। শ্যুটিং স্পট হিসেবে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হয়েছিল উত্তর কলকাতার একটি বাড়িকে। নির্দিষ্ট সময়ে শ্যুটিং স্পটে পৌঁছে গিয়ে সুদেষ্ণা রায় দেখেন, তাঁর টিমের কেউ সেখানে উপস্থিত হননি। ফলে কাজ শুরু করার কোনও প্রশ্নই নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছেন পরিচালক।
ঠিক কী হয়েছে? সুদেষ্ণা জানাচ্ছেন, উত্তর কলকাতার নির্দিষ্ট বাড়িতে পৌঁছে তিনি দেখেন, তাঁর গোটা টিম, যাঁদের সঙ্গে তিনি গত ২ বছর কাজ করছেন, তাঁরা কেউ আসেননি। প্রথমত তাঁর দীর্ঘ ২০ বছরের পরিচিত পুরনো প্রোডাকশন ম্যানেজার শুটিং শুরুর ছ’দিন আগে আচমকা কাজ থেকে সরে দাঁড়ান। এরপরে সরে দাঁড়ান ছবির আর্ট ডিরেক্টর ও । সুদেষ্ণার দাবি, যখন থেকে এই আর্ট ডিরেক্টর সহকারী হিসেবে কাজ করছেন, তবে থেকে তাঁর সঙ্গে সুদেষ্ণার চেনা জানা। তবে কোনও কারণ না দর্শিয়েই তিনি এই ছবি ছেড়েছেন। প্রোডাকশন ম্যানেজার যে গিল্ডের সদস্য সেই গিল্ড এবং ফেডারেশনকে ই-মেল করে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানান সুদেষ্ণা। প্রোডাকশন ম্যানেজার যে গিল্ডের সদস্য সেই গিল্ড এবং ফেডারেশনকে ই-মেল করে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানান সুদেষ্ণা। ইতিমধ্যেই একে একে ছবি থেকে সরে দাঁড়ান প্রায় সমস্ত টেকনিশিয়ানরাই।
সুদেষ্ণা বলছেন, সদ্য বিদুলা ভট্টাচার্য্য়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রায় দিয়েছিলেন কোনও পরিচালকের কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। কিন্তু এই রায়ের পরেও সুদেষ্ণা কাজে বাধা পাচ্ছেন ও তাঁর শ্যুটিংয়ের কাজ বন্ধ হতে পারে বলেই আশঙ্কা তাঁর। আগামী ১৮ তারিখ থেকে নতুন ছবির শ্যুটিং শুরু করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু যদি ছবির সেট না তৈরি হয়, তাহলে কীভাবে শ্যুটিং শুরু করা সম্ভব সেই নিয়ে চিন্তায় পরিচালক। ছবির লুক সেট হয়ে গিয়েছে। মেকআপ আর্টিস্ট থেকে শুরু করে একাধিক লোক ইতিমধ্যেই এই প্রোডেক্টে কাজ করেছেন। প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকেও বেশ কিছুটা খরচ হয়েছিল। কিন্তু সেই সমস্ত টাকা জলে গেল এমনটাই আশঙ্কা করছেন সুদেষ্ণা। তিনি বারে বারেই বলেছেন, মহামান্যা আদালতের রায়ের পরেও তিনি কাজে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। সুদেষ্ণা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনি মর্মাহত ও দুঃখিত। তবে তিনি এখনও আশা রাখছেন, এই পরিস্থিতি থেকে বেরনোর কোনও না কোনও উপায় থাকবে।






















