(Source: Poll of Polls)
The Elephant Whisperers : 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারারস'-এর হাত ধরে অস্কারের মঞ্চে কলকাতার মেয়ে সঞ্চারী
Sanchari Das Mallick: অস্কার পেয়েছে ভারতীয় ড্যকুমেন্টরি শর্ট ফিল্ম দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারারস।এই সিনেমার সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন গল্ফগ্রিনের মেয়ে সঞ্চারী দাস মল্লিক।
কলকাতা: ৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে অস্কার পেয়েছে ড্যকুমেন্টরি শর্ট ফিল্ম দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারারস। ওটিটিতে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ডক্যুমেন্টরি শর্টফিল্মটিতে একটি হাতির শাবকের কাহিনি দেখানো হয়েছে। তামিলনাড়ুর মুদুমালাই জাতীয় অভয়ারণ্যে একটি অনাথ হস্তি শাবক রঘুর সঙ্গে এক দরিদ্র দম্পতির সম্পর্কের ছবি এই সিনেমার সম্পদ। কার্তিকী গঞ্জালভেস পরিচালিত এবং গুনীত মোঙ্গা প্রযোজিত এই ডক্যুমেন্টরি শর্টফিল্মই পেয়েছে অস্কার। আর এতেই অবদান রয়েছে এক বঙ্গ তনয়ারও। দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারারস-এর সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন কলকাতার মেয়ে সঞ্চারী দাস মল্লিক। পাঁচ বছর ধরে পাঁচ জন ক্য়ামেরাম্য়ানকে নিয়ে শ্য়ুটিং হয়েছে এই তথ্য়চিত্রের। সবমিলিয়ে ৫০০ ঘণ্টার ফুটেজ ছিল।
মেয়ের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবা। সঞ্চারীর মা শুভা দাস মল্লিক জানান, 'মন ছটফট করছিল, উদ্বেগে ছিলাম। মন বলছিল পেতে পারে। অনেক ইক্যুয়েশন থাকতে পারে।'
পাশাপাশি, সঞ্চারীর বাবা সাধনকুমার দাস মল্লিক জানান, ' সঞ্চারীর এই সাফল্য়ে আমরা উচ্ছ্বসিত। প্রচুর মানুষের ফোন করছেন। ভীষণ ভাল লাগছে।'
এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সঞ্চারী জানান, 'পুরস্কার ঘোষাণার সঙ্গে সঙ্গে আমার দর্শকাসনে বসে আনন্দে লাফিয়ে উঠি, সবাই আমাদের দিকে তাকায়, কিন্তু অন্য়কিছুর তোয়াক্কা না করে আমরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকি। এই ছবির সঙ্গে গোটা জার্নিটা আমার মনে থেকে যাবে।'
কোথায় পড়াশোনা সঞ্চারীর?
গল্ফগ্রিনের মেয়ে সঞ্চারীর প্রথমে লরেটো কনভেন্ট, তারপর ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং সেন্ট জেভিয়ার্স এরপর পুণের এফটিআইআই থেকে পড়াশোনা করেন।
বর্তমানে মুম্বইয়ে বিজ্ঞাপন ও তথ্যচিত্র সম্পাদনার কাজের সঙ্গে যুক্ত সঞ্চারী।
আরও পড়ুন...
'তোমার সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে আমি আপ্লুত', কার উদ্দেশে বললেন ফতিমা?
প্রসঙ্গত, এই তথ্য়চিত্রকে বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়। ফেসবুকে শিবপ্রসাদের পোস্ট দেখে বোঝা যায় 'এলিফ্যান্ট উইসপারাস' তথ্য়চিত্রটি তাঁর মনে বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছে। আর সেই কারণেই তিনি বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন, প্রযোজক গুণীত মোঙ্গার কথা। পাশাপাশি, তাঁর কথায়,'গুণীত আরো বড় ভাবে প্রমাণ করলো যে প্রযোজক মানে অর্থ নয়, প্রযোজক মানে স্টুডিও নয়, প্রযোজক মানে বিশালত্ব নয়, প্রযোজক মানে প্রচেষ্টা।'তিনি আরও লেখেন, 'গুণীত আত্মবিশ্বাস বাড়ালো আমাদের মত প্রযোজকদের যারা এককভাবে লড়ে যাচ্ছে। সাবাস গুণীত মোঙ্গা।'
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়ের পাশাপাশি এই ছবিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টলিউড ও বলিউডের একাধিক তাবড় শিল্পীরা।