National Nutrition Week 2023: অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন, নিরামিষ খাবার থেকেই পাবেন ভরপুর আয়রন
Anemia Diet : অ্যানিমিয়া রুখতে গেলে যে প্রচুর মাছ-মাংস খেয়ে যেতে হবে এমনটা নয়, বরং শাক-সব্জি, দানাশস্যতেই থাকে আয়রন, যা অ্যানিমিয়া দূর করে।
রক্তশূন্যতা হলো রক্তের এমন একটি রোগ যেখানে রক্তে লোহিত রক্তকণিকা (RBC) বা হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক সংখ্যার চেয়ে কম থাকে। চিকিৎসকরা বলছেন, Anemia কোনও অসুখ নয়, অসুখের লক্ষণ মাত্র। এর অনেক কারণ আছে। প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক এর লক্ষণগুলি। (National Nutrition Week)
হেপাটোলজিস্ট সাজিয়া গুলশন এবিপি লাইভকে জানিয়েছেন, শ্বাসকষ্ট অনুভব করা, দ্রুত হৃদস্পন্দন হওয়া, ত্বক ফ্যাকাশে হওয়া, ক্লান্তি, শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া, এগুলো অ্যানিমিয়ার লক্ষণ। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পুরুষদের থেকে মহিলারাই বেশি অ্যানিমিয়ায় ভোগেন। বিশেষত গ্রামের মেয়েরা। কেন ? কারণ অপুষ্টি। আমাদের দেশে এখনও মেয়েরা নিজের শরীরের প্রতি অনেকটাই উদাসীন। তার ফলে বাড়ে অ্যানিমিয়ার সমস্যা। যাঁদের অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয়, তাঁদের সমস্যাও বেশি। অ্যানিমিয়া রুখতে গেলে যে প্রচুর মাছ-মাংস খেয়ে যেতে হবে এমনটা নয়, বরং শাক-সব্জি, দানাশস্যতেই থাকে আয়রন, যা অ্যানিমিয়া দূর করে।
অ্যানিমিয়া রুখতে পাতে রাখুন প্রচুর শাকসবজি। যেমন, ডালিম, লাল এবং হলুদ ক্যাপসিকাম, ওয়াটারক্রেস, শাক, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, লেবু, মিষ্টি আলু, বীট, সবুজ শাক, পালং শাক- এগুলো যেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পাতে থাকে।
এছাড়া বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবারও খুব প্রয়োজনীয়। বাদাম এবং বীজ হল সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার। এক আউন্স পেস্তা একজন ব্যক্তির প্রয়োজনীয় দৈনিক আয়রনের 6.1% প্রদান করতে পারে। এছাড়া কাজু, শণ বীজ, সূর্যমুখী বীজ, কুমড়ো বীজ, পেস্তা, পাইন বাদাম, আখরোট, চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, হেজেলনাট প্রভৃতি।
মটরশুটি এবং ডাল
অ্যানিমিক রোগীদের জন্য মসুর ডাল একটি সুপারফুড বলে মনে করা হয়। আধা কাপ মসুর ডালে প্রায় ৩.৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, যা সারাদিনে আপনার শরীরের চাহিদার প্রায় ২০%। মটরশুটি এবং ডাল নিরামিষাশী এবং মাংস ভক্ষণকারী উভয়ের জন্যই কাজ করে এবং প্রচুর পরিমাণে আয়রন সরবরাহ করে। খাওয়া যেতে পারে, ছোলা, কালো মটর, কালো শিম, মটরশুটি, রাজমা, সয়াবিন, শস্য থেকেও পাওয়া যায় আয়রন।
আয়রন-ফোর্টিফাইড পাস্তা, শস্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আয়রনের উৎস। খাওয়া যেতে পারে, কিনওয়া, ওটস, গম । বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে যা লোহার উৎস। আপনি যদি নিরামিষভোজী হন যা আপনার ডায়েটে যোগ করতে পারেন। দই, কাঁচা দুধ, পনির, ব্রকলি, তোফু, চা আর কফি খাওয়া যেতে পারে। ট্যানিনযুক্ত খাবার যেমন ভুট্টা, আঙ্গুর, জোয়ার খাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন :
জ্বর থেকে উঠে মুখ কিছু দিলেই বমি ভাব? পড়ুন নিউট্রিশনিস্টের পরামর্শ
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )