এয়ারকন্ডিশনড অফিসে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি! মুখোমুখি বসবেন না, দূরত্ব রাখুন ২ মিটার
সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব কীভাবে?
কলকাতা: আপনি কি এয়ারকন্ডিশনড অফিসে, বদ্ধ পরিসরে কাজ করেন? তাহলে সতর্ক থাকুন। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, এরকম পরিবেশে কোনও উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত থাকলে, তাঁর থেকে ঝড়ের বেগে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে অনেকের মধ্যে।
অফিস-কাছারি খুলে গেছে। পেটের তাগিদে মানুষকে বাইরে বেরোতেও হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকে ভাবছেন, যাঁদের অফিসের ভিতরে কাজ করতে হয়, তাঁরা নিশ্চয় একটু বেশি নিরাপদ। কিন্তু, সত্যিই কি তাই? গবেষকরা এব্যাপারে একেবারেই একমত নন। উল্টে তাঁরা বলছেন, বদ্ধ জায়গায় করোনার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেশি। সেখানে একজনও করোনা আক্রান্ত থাকলে, অজান্তেই তাঁর থেকে হু হু করে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ।
গবেষকদের অনুমান, অনেকক্ষণ ধরে একে অপরের সংস্পর্শে থাকার ফলেই অফিসের বদ্ধ অংশে ভাইরাস হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে। গবেষকদের মতে, কোনও ব্যক্তি বদ্ধ জায়গায় কতক্ষণ সময় করোনা আক্রান্তর সংস্পর্শে বা তাঁর কাছাকাছি থাকছে, সেটাই সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নিচ্ছে।
সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব কীভাবে?
- ডেস্কে কর্মীরা সংখ্যা ১৩ থেকে কমাতে হবে।
- কর্মীদের মুখোমুখি বসার বদলে এভাবে ফাঁকা ফাঁকা হয়ে বসতে হবে।
- যাতে একজন কর্মীর সরাসরি সামনে কেউ না থাকেন।
- প্রত্যেকের মধ্যে ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
- শারীরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
- জীবাণুমুক্ত না করে, কোনও জিনিস হাতবদল করা চলবে না।
- একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তা যতটা সম্ভব ফোনেই সারতে হবে।
- কোনও জায়গাতেই কর্মীদের ভিড় জমানো চলবে না।
- হাওয়া চলাচলের জায়গা রাখতে হবে, যাতে কোনও জীবাণু ঘরের মধ্যেই না থেকে যায়।
কলকাতার অনেক অফিসে ইতিমধ্যেই এই ফর্মুলা মানতে শুরু করেছেন কর্মীরা। করোনা যেভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে সতর্কতাই এখন একমাত্র ভরসা। নইলেই বিপদ!