Coronavirus : 'চিনে এখন যা হচ্ছে, তা শুধুই ট্রেলার' সবচেয়ে বড় ঢেউ জানুয়ারির শেষে?
আগামী দিন কি আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে? ভয়ঙ্কর ভবিষ্য়দ্বাণী করলেন মহামারী বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইগল ডিং।
নয়াদিল্লি : আগামী দিন কি আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে? এই প্রশ্নটা উঠছে কারণ, মহামারী বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইগল ডিংয়ের মতে, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ করোনার প্রকোপে পড়বেন। চিনে মৃতের সংখ্য়া ছাড়াতে পারে ১০ লক্ষ।
চিন রীতিমতো সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলেছে বলে সূত্রের খবর। কোভিড -19 বিধি একটু শিথিল হতেই থাবা বিস্তার করেছে ভাইরাস। সংক্রমণের সংখ্যা চোখ রাঙাচ্ছে। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা উদ্বেগপ্রকাশ করেন, কারণ সে দেশ থেকে ঠিক মতো তথ্যই মিলছে না।
ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ
সারা বিশ্বে চলছে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ চলেছে গত বছর দুই ধরে। এদিকে, চিনে করোনা ক্রমবর্ধমান । দেখা গিয়েছে, Omicron-এর সাব-ভেরিয়েন্ট BF.7 (Omicron BF.7) এবং BF.12 (BF.12) এর জন্যই এই বাড়বাড়ন্ত । এই ভ্যারিয়েন্ট ভারতেও পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে দেশে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সতর্ক হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সারা দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে তাই বিদেশী যাত্রীদের Random sample নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারও বলেছে এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।
Omicron-এর সাব-ভেরিয়েন্ট BF.7 (Omicron BF.7) এবং BF.12-এর ঘটনা গুজরাত এবং ওড়িশায় পাওয়া গিয়েছে । সরকার এ বিষয়ে বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করেছে।
ভয়ঙ্কর ভবিষ্য়দ্বাণী
এই পরিস্থিতিতে ভয়ঙ্কর ভবিষ্য়দ্বাণী করলেন মহামারী বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইগল ডিং। ট্য়ুইট করে আশঙ্কার সুরে তিনি বলেছেন, এবার চিনের প্রায় ৬০ শতাংশ নাগরিক করোনা আক্রান্ত হবেন। বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ করোনার প্রকোপে পড়বেন। চিনে মৃতের সংখ্য়া ১০ লক্ষ ছাড়াতে পারে। মহামারী বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইগল ডিংয়ের এই আশঙ্কা অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ, বছর তিনেক আগে ইনিই গোটা বিশ্বকে করোনার প্রকোপ সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। তখন তাঁকে কেউ গুরুত্ব দেননি। কিন্তু, পরে দেখা যায় তিনি যা বলেছিলেন, তাই সঠিক প্রমাণিত হয়েছিল। মহামারী বিশেষজ্ঞ এরিক ফেগল ট্য়ুইট করে বলেছেন , বিশ্বে ফের করোনার আরও একটা ঢেউ আসবে।
যার জেরে চিনে ১০ থেকে ২০ লক্ষ মানুষের মৃত্য়ু হতে পারে। আগামী দিনে খুব খারাপ সময় আসতে চলেছে। করোনার অন্তত ৩টি ঢেউ আসবে। এটা সবে শুরু। সবচেয়ে বড় ঢেউ লুনার ইয়ারের সময় আসবে, অর্থাৎ জানুয়ারির শেষের দিকে। আর চিনে যা হবে, তা শুধুমাত্র চিনের মধ্য়েই সীমিত থাকবে না।
বহু মৃত্যুর শঙ্কা
শুধু এরিক নন, আরও একাধিক মহামারী বিশেষজ্ঞও মনে করছেন, চিনে এখন যা হচ্ছে, তা শুধুই ট্রেলার। আগামী দিনে পরিস্থিতি অত্য়ন্ত ভয়ঙ্কর হবে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের হেলথ ম্য়াট্রিক্স অ্য়ান্ড ইভাল্য়ুয়েশনের অভ্য়ন্তরীণ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের পয়লা এপ্রিলের মধ্য়ে চিনে ৩ লক্ষ ২৩ হাজার জনের মৃত্য়ু হতে পারে। ১ এপ্রিলের মধ্য়ে দৈনন্দিন চিনে করোনায় মৃতের সংখ্য়া ৫ হাজার ৬০ পৌঁছে যেতে পারে। অর্থাৎ ফের করোনার সেই ভয়ঙ্কর ভ্রুকুটি। তাই এখন থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )