Covid 19 Nimbus : ব্লেড দিয়ে যেন চিরে দিচ্ছে গলা, ছড়াচ্ছে করোনার ভয়ঙ্কর কষ্টদায়ক এই রূপ, কোথায় বাড়বাড়ন্ত?
Coronavirus : বিজ্ঞানীরা হদিশ পেয়েছেন করোনার এই নয়া প্রজাতির। নতুন রূপটি কিন্তু যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণ কমার নাম নেই। দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ। ভয়াবহ আকার না নিলেও কোভিড ১৯ নিয়ে এবার বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে শিশু, বয়স্ক ও সহ-অসুস্থতা রয়েছে, এমন মানুষদের। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেছে এবারও। তবে এই মুহূর্তে, গবেষকদের ভাবাচ্ছে নিম্বাস। আমেরিকায় বিজ্ঞানীরা হদিশ পেয়েছেন করোনার এই নয়া প্রজাতির। নতুন রূপটি কিন্তু যথেষ্ট কষ্টের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
NB.1.8.1 প্রজাতির এই ভাইরাসটিকেই নিম্বাস বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে । চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ, করোনার এই প্রজাতিটি সরাসরি গলায় আক্রমণ করে। যার ফলে, রোগীর মনে হচ্ছে কেউ যেন গলার ভিতর ব্লেড দিয়ে চিরে দিয়েছে। এতটাই কষ্টদায়ক এই প্রভাব। এই ভাইরাস কতটা বিপজ্জনক? কী বলছেন গবেষকরা?
এই রূপটি কতটা বিপজ্জনক?
করোনাভাইরাসের প্রকৃতি ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। করোনার নতুন নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলছে। দেখা গিয়েছে, মার্কিন মুলুকে নিম্বাসের দাপট বেশ বেড়েছে। জুনের প্রথম দুই সপ্তাহে যতগুলি করোনা সংক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৩৭ শতাংশই এই রূপের। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) অনুসারে, কোভিডের এই নতুন রূপ, নিম্বাসকে রেজার ব্লেড থ্রোট বলা হচ্ছে। কারণ এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হলে গলার হাল খারাপ হয়ে যাচ্ছে। গলায় তীব্র ব্যথা হচ্ছে । মনে হচ্ছে যেন গলায় যেন ব্লেড আটকে আছে।
এর দরুণ, খাবার গিলতে বা জল গলা দিয়ে নামাতেও অসুবিধা হচ্ছে। কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে। অসুবিধা হচ্ছে শ্বাস নিতেও। সঙ্গে জ্বর, বুকে টানটান ভাব তো থাকছেই। কখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিম্বাস ভ্যারিয়েন্টের হালকা লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু যদি এই অবস্থা অব্যাহত থাকে তবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। যদি গলায় ব্যথা বা বুকে টান অনুভব হয়, যদি প্রচণ্ড জ্বরের সঙ্গে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, তাহলে ডাক্তারের সাহায্য চাওয়া দরকার।
মে মাসের শেষের দিক থেকে আবারও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যের কোন হাসপাতালে কী পরিকাঠামো রয়েছে রিপোর্ট দিয়ে জানানোর নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য ভবন। তবে এখনও পর্যন্ত করোনা ভয়াবহতা দেখায়নি এবার।






















