(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
National Nutrition Week: ভারতীয় ডায়েট না পশ্চিমী ডায়েট, কোন খাবার পাতে রাখলে সুস্থ থাকবে শরীর?
Indian Diet Nutrition: সম্প্রতি EAT-Lancet জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে একটি রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে- EAT-Lancet রেফারেন্স ডায়েটের নিরিখে কিন্তু ভারতীয় ডায়েট একদমই অস্বাস্থ্যকর।
কলকাতা: সকালে লুচি, রুটি-তরকারি, দুপুরে ভাত-ডাল-তরকারি, জঠর বুঝে মাছ-মাংস খাওয়া, বিকেলে স্ন্যাক্সে চা-চপ ইত্যাদি, অধিকাংশ ভারতীয়দের প্রতিদিনের মেনু কমবেশি এগুলিই। কিন্তু সুস্থ থাকতে কি এগুলি খাওয়া ভাল? না কি পশ্চিমী ডায়েট- যেমন ব্রেড, জ্যাম, পোচড এগ, বেকড ভেজিটেবল, চিকেন- উপকার পাওয়া যাবে এগুলিতে?
সম্প্রতি EAT-Lancet জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে একটি রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে- EAT-Lancet রেফারেন্স ডায়েটের নিরিখে কিন্তু ভারতীয় ডায়েট একদমই অস্বাস্থ্যকর। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ভারতীয়রা চাল-ডাল-গমের ওপর অত্যাধিক নির্ভরশীল। এতে হয়তো তাদের ক্যালোরি পুষিয়ে যায়, কিন্তু প্রতিদিনের প্রোটিন, সবজি কিংবা ফল থেকে যে উপাদান পাওয়া যায়, সেটি উপলব্ধ হয় না।
ল্যানসেটের ওই স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, ভারতের জনসংখ্যার নিরিখে মাছ-মাংস খাওয়ার সংখ্যা কিন্তু কম। বলা হয়েছে, প্রায় ৮০ শতাংশ জনসাধারণ নিজেদের নিরামিষভোজীই বলছে। এও বলা হয়েছে, কোনও অনুষ্ঠান ছাড়া নিত্যদিন মাছ, মাংস অনেকেই খান না।
ভারতীয় খাবারে ডায়েটের একটি সমস্যার কথাও বলা হয়েছে ওই স্টাডিতে। সস্তা পুষ্টিকর খাবারের চেয়ে দেড়গুণ বেশি ব্যয়বহুল হয়ে যায় ভারতীয় ডায়েট। কারণ, বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে ব্যয়বহুল খাদ্য উপাদান হল ফল, শাকসবজি এবং প্রাণীজ পণ্য। ভারতীয়রা স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রধান ক্যালরি গ্রহণের জন্য শস্যের উপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুন, প্রচণ্ড জ্বরে ভুগে আর কিছু খেতে পারছেন না ? কীভাবে ফেরাবেন এনার্জি ?
EAT-Lancet রেফারেন্স ডায়েটের সঙ্গে ভারতীয় ডায়েটের তুলনা করলে দেখা গিয়েছে, গড়ে ভারতীয়রা গোটা শস্য থেকে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করে কিন্তু ফল এবং শাকসবজি, লেবু এবং প্রাণীজ খাবার যেমন মাংস, মাছ এবং ডিম থেকে কম। ভারতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে পরিশোধিত ময়দা বা সাদা আটা, সুজি, চাল এবং গমের আটা এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্যশস্য। যা সঠিকভাবে নিউট্রিশন পূরণ করতে পারে না। পশ্চিমী খাবারের ক্ষেত্রেও সমস্যাটি কম বেশি একই। তবে ভারতীয় খাবার যদি মেনে নেওয়া যায়, তবে তা শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর।