৫৯ বছর বয়সেও কীভাবে ফিট থাকেন বাবা রামদেব ? জানুন তাঁর দৈনিক রুটিন
ব্রহ্মমুহূর্তে জাগরণ, যোগ, ধ্যান, সাত্ত্বিক আহার সুস্থ রাখে , বলছেন বাবা রামদেব

যোগগুরু বাবা রামদেব আজ ফিটনেস এবং আয়ুর্বেদের এক অন্যতম প্রধান আইকনে পরিণত হয়েছেন। ৫৯ বছর বয়সেও তাঁর তরতাজা ভাব এবং শক্তি অনেকের চেয়ে বেশি বলে দাবি করা হয়। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর স্বাস্থ্য, সাফল্য এবং দৈনন্দিন রুটিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, কীভাবে সাধারণ জীবনযাত্রা এবং যোগাভ্যাসের মাধ্যমে যে কেউ গুরুতর অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে পারে।
ব্রহ্ম মুহূর্তের গুরুত্ব
বাবা রামদেব তাঁর দিন শুরু করেন ব্রহ্ম মুহূর্তে (ভোর ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে)। তিনি বিশ্বাস করেন, যে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে শরীর ও মন উভয়ই নতুন শক্তি পায়। ঘুম থেকে ওঠার পর তিনি প্রথমে মাতৃভূমি এবং তাঁর গুরুদের প্রণাম করেন, তারপর ঈষদুষ্ণ জল পান করেন, যা পেট পরিষ্কার করতে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।
যোগাভ্যাস এবং ধ্যান : দিনের ভিত্তি
বাবা রামদেবের দৈনন্দিন রুটিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল যোগাভ্যাস এবং ধ্যান। তিনি জানান, প্রতিদিন এক ঘণ্টা ধ্যান করেন, যা মানসিক শান্তি এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্তির জন্য অপরিহার্য। এর পরে, তিনি নিয়মিতভাবে কপালভাতি, অনুলোম-বিলোম এবং সূর্য নমস্কারের মতো যোগাভ্যাস করেন। তাঁর মতে, যোগাভ্যাস কেবল শরীরকে নমনীয়ই করে না, বরং ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকেও রক্ষা করে।
সাত্ত্বিক এবং প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত খাবার
বাবা রামদেব সাত্ত্বিক আহারের সমর্থক। তিনি তাঁর খাদ্যাভ্যাসে শুধুমাত্র তাজা ফল, সবুজ শাকসবজি এবং প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত খাবারকে অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে জাঙ্ক ফুড শরীরের জন্য বিষের মতো। নিরামিষ খাবার শরীরের তিনটি প্রধান দোষ — বাত, পিত্ত এবং কফ — এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, রোগ দূরে রাখে।
বাবা রামদেবের বার্তা স্পষ্ট: আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান, তবে প্রকৃতির কাছে ফিরে যান। আয়ুর্বেদ, নিয়মিত যোগাভ্যাস এবং একটি সুশৃঙ্খল খাদ্য দীর্ঘ ও রোগমুক্ত জীবনের চাবিকাঠি। এই অভ্যাসগুলি মেনে চলে, কেবল শরীরকেই সুস্থ রাখা যায় না, মানসিক স্বচ্ছতা এবং সাফল্যও অর্জন করা যায়।
প্রতিবেদনটি সংস্থার বক্তব্য ও দাবি অনুসারে উল্লেখিত হয়েছে। মেনে চলবেন কি না, তা বিচার-বিবেচনা করুন ও প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।






















