Increased Appetite: ঘন ঘন খিদে পায় ? কেন এমন হয়
Increased Appetite reasons: ঘন ঘন খাবার খেতে ইচ্ছে করে। খাবার শেষ হলেই পরের খাবারের কথা মাথায় আসে। এর কারণ শরীরের দুই হরমোন।
কলকাতা: ঘন ঘন খিদে পায়। কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছে করে সবসময়। সে খাবার ফাস্ট ফুডও হতে পারে, আবার বাড়িতে বয়ামে রাখা চানাচুরও হতে পারে। কিন্তু এত ঘন ঘন খিদে পায় কেন ? এর পিছনে বেশ কিছু শারীরিক কারণ থাকতে পারে। দুটি নির্দিষ্ট হরমোন আমাদের খিদে পাওয়ার জন্য দায়ী। খিদের অনুভূতি সেই হরমোনগুলিই নিয়ন্ত্রণ করে।
ঘ্রেলিন ও লেপ্টিন
ঘ্রেলিন হরমোনকে ‘হাঙ্গার হরমোন’ বলা হয়। এর জন্যই আমাদের খিদে চাগাড় দেয়। এটি মস্তিষ্ককে খিদের সংকেত পাঠায়। তবে এছাড়াও, বেশ কিছু কাজ রয়েছে ঘ্রেলিনের।
- ঘ্রেলিন খিদের অনুভূতি তৈরি করে।
- শরীরে অতিরিক্ত খাবার ফ্যাট হিসেবে জমায়।
- মেটাবলিজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- পিটুইটারি গ্রন্থিকে গ্রোথ হরমোন ক্ষরণের জন্য সংকেত পাঠায়।
- সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রেও এর কিছুটা ভূমিকা রয়েছে।
অন্য হরমোনটি হল লেপ্টিন। এর কাজ ঠিক উল্টো। এটি ‘পেট ভরে গিয়েছে’- এই অনুভূতি তৈরি করে। যার জন্য আমরা একটা সময় খাওয়া থামিয়ে দিই।
- লেপ্টিন হরমোন আমাদের ফ্যাট কোষ থেকে ক্ষরিত হয়।
- শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে এর বড় ভূমিকা রয়েছে।
- পেট ভরার অনুভূতি তৈরি করে লেপ্টিন।
স্বাভাবিকভাবে ঘ্রেলিনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে খিদে বেশি পায়। আবার শারীরিক সমস্যার কারণে লেপ্টিনের ক্ষরণ কমে গেলে সহজে খাওয়া থামান না একজন। এর ফলে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। বা ঘন ঘন খাওয়ার অভ্য়াস তৈরি হয়।
তবে এ তো হরমোন-জনিত কারণ। এছাড়াও, শারীরিক ও মানসিক কিছু অবস্থার কারণে ঘন ঘন খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়।
- স্ট্রেস বেশি হলে: সারাদিনের কাজের চাপে স্ট্রেস বাড়ে। আর সেই স্ট্রেসের থেকে খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও বেড়ে যায়। একে অনেক সময় ইমোশনাল ইটিংও বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
- রিফাইনড কার্ব বেশি খেলে: একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রিফাইনড কার্বোহাইড্রট যেমন চিপস, ফাস্টফুড, চাউমিন, পিৎজা, বার্গার ইত্যাদি বেশি খেলে ঘন ঘন খিদে পেতে থাকে। ফলে বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
- পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ঘ্রেলিন হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ঘুম অনিয়মিত হলে খিদে বারবার পেতে থাকে। যার ফলে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
- ফাইবার ও প্রোটিন কম খেলে: ফাইবার ও প্রোটিনজাতীয় খাবার আমাদের পেট ভরাটের অনুভূতি দেয়। এর ফলে চাইলেও খাবার খেতে ইচ্ছে করে না। ফাইবার ও প্রোটিন কম খেলে বারবার খিদে পেতে থাকে।
(ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Weight Loss: ব্রিস্ক ওয়াকিং না জগিং? ওজন ঝরাতে কোনটা ভাল? কোনটাই বা বিপদের