Gout Pain: গেঁটে বাত কেন হয়? এর পিছনে মূল কারণ কী? কোন বিশেষ রঙের ফল খেলে কিছুটা কমবে ব্যথা, আরাম পাবেন আপনি
Health Problems: ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা শরীরে বেশি থাকলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে একটি হল গেঁটে বাতের সমস্যা। তীব্র যন্ত্রণা হয় এই সমস্যা দেখা দিলে।

Gout Pain: ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে গেঁটে বাতের সমস্যা দেখা দেয়। এই তীব্র যন্ত্রণা কমাতে চারটি ফল আপনি খেতে পারেন। এইসব ফলের রং লাল। এগুলি পাতে রাখলে উপকার পেতে পারেন। তবে খাওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এবার জেনে নেওয়া যাক লাল রঙের কোন কোন ফল খেলে, গেঁটে বাতের ব্যথা কমার ক্ষেত্রে উপকার পাবেন আপনি।
বেদানা
বেদানা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এই ফল খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলেই গেঁটে বাতের সমস্যা, তীব্র যন্ত্রণা, এগুলো হবে না।
র্যাসপবেরি
র্যাসপবেরি- এই বিশেষ জাম খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটা হল এই জাম খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে। র্যাসপবেরিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এই দুই উপকরণ শরীরে ইনফ্লেমেশনের সমস্যাও কমাতে সাহায্য করে।
চেরি ফল
চেরি ফল খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমতে বাধ্য। তাই যাঁদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেশি, তাঁরা এই ফল খেতে পারেন। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে গেলে গেঁটে বাতের সমস্যাতেও সুরাহা হবে। তাই মেনুতে রাখুন চেরিফল।
স্ট্রবেরি
লাল রঙের ফল স্ট্রবেরি খাওয়ার অনেক গুণ রয়েছে। এই ফল খেলে গেঁটে বাতের যন্ত্রণাও দূর করা সম্ভব। তাই স্ট্রবেরি খেতে পারেন আপনি। ফল হিসেবে স্ট্রবেরি খেলে আপনার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে কারণ স্ট্রবেরি খেলে কমে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা।
তরমুজ
গরমের দিনে এমনিতেই তরমুজ খাওয়া ভাল। এই ফল শরীর হাইড্রেটেড রাখে। তাছাড়া শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দেয়। তার ফলে ব্যথা কমবে। আরাম পাবেন আপনি।
লাল রঙের আঙুর
লাল রঙের আঙুর খেলে আমাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রিতই থাকবে। গেঁটে বাতের সমস্যা দেখা দেবে না। তাছাড়া এই আঙুর শরীর ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে। ফলে ভিতর থেকে পরিশ্রুত থাকবেন আপনি। সার্বিক ভাবে সুস্থ থাকবে শরীর।
রেড বেলপেপার
লাল রঙের ক্যাপসিকাম বা বেলপেপার খেলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে ইউরিক অ্যাসিড। বেশি থাকলে মাত্রা কমে। এতে থাকা ভিটামিন সি সাহায্য করে।
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা শরীরে বেশি থাকলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরের বিভিন্ন অংশের যন্ত্রণার পাশাপাশি ফুলে যেতে পায়ের পাতা এবং বিশেষ করে গোড়ালির অংশ। তীব্র যন্ত্রণাও হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে কিডনি সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। তার ফলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন পুরোপুরি বেরোতে পারে না। আর এর জেরেই ফ্লুইড রিটেনশন হয় আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে। অর্থাৎ ফ্লুইড জলে হাত, পা, মুখ অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে যেতে পারে। কিডনিতে স্টোন হতে পারে।
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )






















