Health Tips: মরসুম বদলে সুস্থ থাকার উপায়? ডায়েটে চাই পেয়ারা
Benefits of Guava: বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু এই সময়েই নয়, সারা বছরই রোগ প্রতিরোধ শক্তি ঠিক রাখতে মরসুমি ফল খাওয়া প্রয়োজন।

কলকাতা: মরসুম বদলের সময় নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। বিশেষ করে ভারতের মতো গ্রীষ্মকালীন দেশে যখন শীতের মরসুম শুরু হয় তার ঠিক আগে নানারকম মরসুমি সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। এই সময় দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি ঠিক রাখার জন্য ঠিক খাদ্যাভ্যাস খুব জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু এই সময়েই নয়, সারা বছরই রোগ প্রতিরোধ শক্তি ঠিক রাখতে মরসুমি ফল খাওয়া প্রয়োজন।
এমন কিছু ফল রয়েছে যা আমাদের দেশে, বিশেষ করে বাংলায় সারা বছরই পাওয়া যায় এবং অত্যন্ত উপকারী। তার মধ্যেই একটি হল পেয়ারা। বছরভর পেয়ারা খাওয়ার নানা উপকারিতা রয়েছে। শীতের মরসুমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতেও এর গুরুত্ব অপরিসীম।
একাধিক পুষ্টিগুণে ঠাসা পেয়ারা। ফাইবার, ভিটামিন সি. পটাশিয়াম এবং একাধিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে পেয়ারায়। ফলে পাতে নিয়মিত পেয়ারা থাকলে শরীরের নানা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার জন্য তা উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি:
একাধিক খনিজ রয়েছে এই ফলে। পেয়ারায় রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য় করে। সাধারণ ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণ ঠেকাতে ভিটামিন সি কার্যকরী।
পাচনপ্রক্রিয়ার জন্য উপকারী:
পেয়ারায় উচ্চমাত্রায় ফাইবার রয়েছে। পাশাপাশি পেয়ারা বীজে এমন পদার্থ রয়েছে যা পাচনপ্রক্রিয়ার জন্য উপকারী এবং পুরো পাচনতন্ত্র সুস্থভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন সকালে পাকা পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সুরাহা পাওয়া যায়।
মধুমেহে উপকারী:
পেয়ারা গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। যা খাওয়ার পরে রক্তে হঠাৎ করে শর্করা বৃদ্ধি হয় না। এছাড়া পেয়ারায় ফাইবার থাকায় শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
পেশির জন্য উপকারী:
পেয়ারায় ম্যাগনেশিয়াম থাকে। যা পেশির স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি হওয়ায় প্রদাহ রুখতেও কার্যকরী।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য:
সামগ্রিক পুষ্টিপদার্থ থাকে পেয়ারায়। প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ফাইবার ও ভিটামিন থাকায় যা পুষ্টির ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। থাইরয়েড মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণেও উপকারী। সহজে পেট ভরাতে সাহায্য করে পেয়ারা। শর্করার মাত্রা কম হওয়ায় ওজন বৃদ্ধিও হয় না।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল দেখে চিন্তা? পাতে রাখুন এই আনাজ
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )






















