Sugar Cravings: ওজন কমাতে ডায়েট করছেন, সঙ্গে হচ্ছে সুগার ক্রেভিংস, কী কী খেতে পারেন?
Weight Loss: ওজন কমাতে গিয়ে ডায়েট করার সময় যদি সুগার ক্রেভিংস হয় তাহলে কী কী খেতে পারেন, দেখে নিন সেই তালিকা।
Sugar Cravings: ওজন কমানোর (Weight Loss) ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়ায় হ্রাস টানা প্রয়োজন। বাদ দিতে হয়ে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসও। কিন্তু কড়া ডায়েটের মধ্যেও অনেক সময়েই সুগার ক্রেভিংস (Sugar Cravings) হয়। এই সমস্যা এড়াতে কী কী খেতে পারেন?
খেজুর- ন্যাচরাল সুইটনার হিসেবে খেজুরকে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যায়। এই ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। খেজুর খেলে একাধিক উপকার পাবেন আপনি। ফাইবার, পটাশিয়াম, আয়রন সমৃদ্ধ খেজুর ওজন কমাতে সাহায্য করে। অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে খেজুর খেতে পারেন। আর যাঁরা নিয়মিত কড়া ডায়েট করছেন তাঁদের যদি কখনও মিষ্টি স্বাদের কিছু খেতে ইচ্ছে করে তাহলে খেতে পারেন খেজুর।
ইয়োগার্ট- সুগার ক্রেভিং কমানোর জন্য পাতে রাখতে পারেন ইয়োগার্ট। অনেক পুষ্টিগুণ যুক্ত এই ইয়োগার্টের মধ্যে বেশিরভাগ সময়েই ফল মিশিয়ে খাওয়া হয়। তার ফলে একটা মিষ্টি স্বাদ আপনি অনুভব করতে পারবেন। এর পাশাপাশি ফল মিশিয়ে ইয়োগার্ট খেলে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরে থাকবে। খাওয়ার পর আপনি তৃপ্তি পাবেন। তার ফলে খাইখাই ভাব দেখা যাবে না। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে ইয়োগার্ট।
সুইট পটেটো_ মিষ্টি আলু বা রাঙা আলু খেতে পারেন আপনি। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ডায়েট করলে আলু খাওয়ার পরিমাণ কমাতেই হয়। অথচ অনেকেই আছেন যাঁরা আলু খেতে ভালবাসেন। তাঁরা এমনি আলুর পরিবর্তে মিষ্টি আলু খেতে পারেন। এই রাঙা আলু বা মিষ্টি আলু দিয়ে পিঠে, মিষ্টি ইত্যাদি তৈরি করা যায়। তাই ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করার সময় যদি সুগার ক্রেভিং হয় সেক্ষেত্রে পাতে রাখতে পারেন মিষ্টি আলু।
ডার্ক চকোলেট- এমনিতে চকোলেট খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। সাধারণভাবে আমরা এটাই জানি। কিন্তু ডার্ক চকোলেট খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। তাই ডার্ক চকোলেট আপনার সুগার ক্রেভিং কমাতে সহায়তা করে। ডার্ক চকোলেটের মধ্যে রয়েছে পলিফেনল। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে এই ডার্ক চকোলেট। এছাড়াও বৃদ্ধি করে মেটাবলিজম রেট। তার ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন।
জাম জাতীয় ফল- বিভিন্ন জামজাতীয় ফল খেতে পারেন ডায়েট করাকালীন। আর এই সময়ে যদি সুগার ক্রেভিং হয়, তাহলেও জামজাতীয় ফল খাওয়া যেতে পারে। ক্যালোরি কম যুক্ত এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। জামজাতীয় ফল যেমন ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, র্যাসপবেরি, এইসব ফল স্বাদে কিছুটা মিষ্টি। তাই ন্যাচারাল সুইটনার হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এইসব ফল ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন- উজ্জ্বল-মোলায়েম ত্বকের রহস্য লুকিয়ে প্রতিদিনের 'ভাল অভ্যাসে', কী কী উপায়ে যত্ন নেবেন?