Hair Masks: চুলের হাজারো সমস্যার সমাধান লুকিয়ে হেয়ার মাস্কে, বাড়িতে কী কী উপকরণ দিয়ে তৈরি করতে পারেন?
Healthy Hair: বাড়িতেই আপনি সহজে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে কী কী উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন এবং কীভাবে হেয়ার মাস্ক তৈরি ও ব্যবহার করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
Hair Masks: হেয়ার মাস্ক (Homemade Hair Mask) চুলের একাধিক সমস্যা (Hair Problems) দূর করে সাহায্য করে। চুলের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর হয় হেয়ার মাস্কের ব্যবহার। এছাড়াও চুলের লালচে ভাব, ডগা ফেটে যাওয়া, চুল মাঝখান থেকে ভেঙে যাওয়া এইসব সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে হেয়ার মাস্ক। এর পাশাপাশি চুলের মোলায়েম এবং উজ্জ্বল ভাব বজায় রাখতেও হেয়ার মাস্কের জুড়ি মেলা ভার। সবসময় যে বাজার-দোকান থেকে হেয়ার মাস্ক কিনে চুলে ব্যবহার করতে হবে তা নয়। বরং এইসব প্রোডাক্টে বিভিন্ন রাসায়নিক উপকরণ থাকতে পারে, যার প্রভাবে চুলের স্বাস্থ্য আরও খারাপ হতে পারে কিংবা চুলে নতুন করে জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বাড়িতেই আপনি সহজে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে কী কী উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন এবং কীভাবে হেয়ার মাস্ক তৈরি ও ব্যবহার করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মধু ও অ্যাভোকাডো- চুলের উজ্জ্বলতা এবং মোলায়েম ভাব বজায় রাখার ক্ষেত্রে মধুর সঙ্গে আভোকাডো পেস্ট মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন হেয়ার মাস্ক। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে সামান্য অলিভ অয়েল যা চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল। অ্যাভোকাডো পেস্ট, মধু এবং অলিভ অয়েলের মিশ্রণ মাথায় লাগিয়ে চুলে অন্তত মিনিট ১৫ রেখে দিন। এরপর ভাল ভাবে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দু'বার এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
দুধ এবং কলা- ঘরোয়া পদ্ধতিতে হেয়ার মাস্ক তৈরির ক্ষেত্রে ইয়োগার্ট বা টকদই, দুধ এবং কলা- এই তিনটি উপকরণ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আপনি কলা টুকরো করে কেটে সেটা ভাল করে ম্যাশ করে নিয়ে তার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন হেয়ার মাস্ক। দুধ এবং কলার সঙ্গে এই মিশ্রণেও মিশিয়ে নিন কিছুটা অলিভ অয়েল। তারপর এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে মিনিট ১৫ রেখে, তারপর ভাল ভাবে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু-থেকে তিনবার এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে তফাতটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
ওটস এবং দুধ- ওটস জলখাবারে আজকাল অনেকেই খেয়ে থাকেন। ওটস দিয়ে ফেস স্ক্রাব তৈরি করা যায় একথাও অনেকেরই জানা। বাড়িতে হেয়ার মাস্ক তৈরির ক্ষেত্রেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন ওটস। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে দুধ। বলা ভাল দুধের মধ্যে ওটস ভিজিয়ে রাখতে হবে। দুধের মধ্যে ওটস ভিজিয়ে দেওয়ার পর ওই মিশ্রণে সামান্য আমন্ড অয়েল দিতে পারেন। ভাল ভাবে সবকিছু মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগিয়ে নিন হেয়ার মাস্ক। মিনিট ১৫ রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
ডিম এবং লেবুর রস- লেবুর রস বিশেষ করে পাতিলেবুর রস চুলের জন্য ভাল, একথা অনেকেই জানেন। ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে পাতিলেবুর রস ব্যবহার করেন অনেকেই। এর ফলে চুলের চকচকে ভাব বা জেল্লা বাড়ে। এছাড়াও চুল নরম বা মোলায়েম থাকে। বাড়িতে হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে চাইলে ডিমের সঙ্গে লেবুর রস আর সামান্য অলিভ অয়েল কিংবা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে তৈরি করে নিন মিশ্রণ। চুলে লাগিয়ে মিনিট ১৫-২০ রেখে শ্যাম্পু করে চুলে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এই হেয়ার মাস্ক বিশেষ করে লেবুর রস খুশকির সমস্যাও দূর করে।
ইয়োগার্ট এবং কলা- কলার সঙ্গে ইয়োগার্ট বা টকদই মিশিয়েও আপনি হেয়ার মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন বাড়িতে। এই মিশ্রণও চুলের স্বাস্থ্যের দেখভাল করে। চুলের একাধিক সমস্যা দূর করে। কলার সঙ্গে ইয়োগার্ট কিংবা টকদই মিশিয়ে যে হেয়ার মাস্ক তৈরি করবেন তার মধ্যে সামান্য অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণ মিনিট ১৫ চুলে লাগিয়ে রেখে তারপর শ্যাম্পু করে ভালভাবে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন- চুলের সঠিক বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন পাতে কোন ৫টি ফল রাখতে পারেন?