Fasting health facts: উপোস ভাল না খারাপ ? চিকিৎসকদের কথা শুনলে চমকে যেতে পারেন
Fasting benefits and risks: উপোস করতে অনেকেই নিষেধ করেন। কিন্তু এ কি আদৌ খারাপ? চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলছে জানেন?
![Fasting health facts: উপোস ভাল না খারাপ ? চিকিৎসকদের কথা শুনলে চমকে যেতে পারেন Is fasting good or bad know experts take Fasting health facts: উপোস ভাল না খারাপ ? চিকিৎসকদের কথা শুনলে চমকে যেতে পারেন](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/01/17/42189b5529c9c09662faa5d2c9de8f7a1705510525924928_original.png?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: পুজো আচ্চা ও আরও নানা পার্বণ উপলক্ষে উপোসের রীতি রয়েছে। কিন্তু এই উপোসের রীতি আদৌ শরীরের ভাল না খারাপ, তা নিয়ে তর্কের শেষ নেই। কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের কথায়, উপোস শরীরের নানা রোগ ডেকে আনে। আবার, কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের কথায়, এটি একটি বিশেষ ধরনের ডায়েট। যাকে পোশাকি ভাষায় বলা হয় ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (Intermittent fasting)। এই বিশেষ ধরনের ফাস্টিং বা উপোসটি ওজন কমানোর জন্য করা হয়।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং অন্য কায়দার উপোস!
ওজন কমানোর যে কয়েকটি জনপ্রিয় কায়দা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। এই বিশেষ কায়দায় অনেকক্ষণ খাবার না খেয়ে থাকাই দস্তুর। সেই দস্তুর মতো কেউ কেউ টানা ১৬ ঘন্টা উপোস করেন। বাকি আট ঘন্টার মধ্যে সব খাবার খান। কীভাবে সেটা সম্ভব? ধরা যাক, সকালের প্রথম খাবার আপনি ১১ টায় খেলেন। এর পর দুপুরের খাবার ৩ টেয় খাবেন। রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে ৭ টায়। ৭ টা থেকে টানা পরের দিন সকাল ১১ টা পর্যন্ত না খেয়েই থাকতে হবে। একরকম উপোস।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়!
শুধু ওজন কমায় তা নয়। বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে সাহায্য করে উপোস। কীভাবে তা হয়? দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে শরীরের ‘অটোফ্যাগি’ নামের একটি বিশেষ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায় শরীরের পুরোনো ও ক্ষতিগ্রস্ত কোশগুলি নষ্ট হয়ে বেরিয়ে যায়। অন্যদিকে নতুন সুস্থ কোশ তৈরি হতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়ার ফলে শরীরে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হয়। একইসঙ্গে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে নিস্ক্রিয় করে দেয় এই পদ্ধতি।
অটোফ্যাগিতে কী কী হয়?
- অটোফ্যাগি প্রক্রিয়া কোশের ক্ষতিগ্রস্ত ও সংক্রমিত অংশকে শরীর থেকে বার করে দেয়।
- নতুন কোশ তৈরি করে এই প্রক্রিয়া। এই নতুন কোশের মধ্যে রোগ প্রতিরোধী কোশও থাকে। এই পদ্ধতিকে হেমাটোপোয়েসিস বলে। কারণ এই পদ্ধতিতে রক্তকোশও তৈরি হয়।
আইএএনএস-এর একটি সূত্র অনুযায়ী, নিয়মিত উপোস করলে মেটাবলিক হার উন্নত হয়। মেটাবলিজম শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। যা স্লথ হয়ে গেলে ডায়াবেটিস, ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে থাকে। এই রোগগুলির বিরুদ্ধেই লড়াই করে উপোস প্রক্রিয়া। উপোস থাকলে একদিকে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে, অন্যদিকে ওজনও দ্রুত কমে। এছাড়াও এটি শরীরের ভিতর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
তথ্যসূত্র: আইএএনএস
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের সঙ্গে সরাসরি পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন: Tooth brushing: সকাল, দুপুর না রাত ? দাঁত মাজার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কোনটি
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)