Blood Sugar Diet: সুগারের রোগী আম খাচ্ছেন না, অথচ রুটি খাচ্ছেন! ভুল করছেন না ঠিক?
গবেষকদের দাবি, নির্দিষ্ট ডায়েটের সঙ্গে যদি নিয়ন্ত্রিতভাবে আম খাওয়া যায়, তাহলে তা নাকি টাইপ ২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপকারই করে।

কলকাতা : আমের মরশুম যদিও প্রায় শেষ...কিন্তু এখন তো সারা বছরই সব ফল পাওয়া যায়। আর আম-প্রেমীদের কাছে তো সারা বছরই আমের মরশুম। কিন্তু আম খাওয়া কী সবার জন্য ঠিক? সুগার বাড়বে না তো? মোটা হয়ে যাব না তো? এমন নানাবিধ প্রশ্ন মনে উঁকি মারতেই থাকে। তার উপর যদি মানুষটি ডায়াবেটিস আক্রান্ত হন, তাহলে তো তাঁর আম খাওয়ায় সকলেই বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেয়।
আম ডায়াবেটিস রোগীদের শত্রু নয়, বন্ধুই !
আম কি আদৌ ডায়াবেটিস রোগীদের চরমশত্রু? চাঞ্চল্যক তথ্য সামনে এনেছে নয়াদিল্লির ফোর্টিস সি-ডোক হাসপাতাল ফর ডায়াবেটিস অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস এবং নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ডায়াবেটিস, ওবেসিটি অ্যান্ড কোলেস্টেরল ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে দুটি ক্লিনিক্যাল রিসার্চ। গবেষকদের দাবি, নির্দিষ্ট ডায়েটের সঙ্গে যদি নিয়ন্ত্রিতভাবে আম খাওয়া যায়, তাহলে তা নাকি টাইপ ২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপকারই করে। ইউরোপীয় জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনের একটি গবেষণাতেও এমন দাবি করা হয়েছে।
আম বনাম রুটি
বিষয়টি বিস্তারিত জানতে এবিপি লাইভ কথা বলেছিল, ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ড. অনন্যা ভৌমিকের সঙ্গে। তিনি জানালেন, কেউ যদি আম না খেয়ে সম পরিমাণ রুটি খেয়ে ভাবেন, অনেকটা লোভ সম্বরণ করলেন, আদতে ভুলই করেন। কারণ, রুটি খেলেও রক্তে সঙ্গে সঙ্গে শর্করার পরিমাণ যতটা বাড়ে, তা আমের থেকে কম নয়, বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেশিই। তাই আমের বদলে রুটি খেয়ে শরীরের কোনও উপকার হয় না। বরং, গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের নিরিখে রুটি আমের থেকে বেশি প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। আর আমের যত পুষ্টিগুণ রয়েছে, রুটির সেই তুলনায় যথেষ্ট কমই।
পুষ্টিবিদের কথায়, এটা নিয়ে তর্কের কোনও অবকাশই থাকে না। আমের গ্লাইসেমিক সূচক সাদা পাঁউরুটির তুলনায় কমই। গবেষণায় দেখা গেছে, অল্প পরিমাণে আম খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করা যতটা বাড়ে, তার বদলে রুটি-পরোটা-পাঁউরুটির মতো জিনিস খেলে শর্করার মাত্রা বাড়ে অনেকটাই বেশি। আমের গ্লাইসেমিক সূচক মোটামুটি মাঝারিই। তুলনায় সাদা রুটি বা পাঁউরুটির গ্লাইসেমিক সূচক বেশি।
আমই উইনার?
এছাড়াও পুষ্টিগুণে আম অনেকটাই এগিয়ে। আমে ফাইবার, ম্যাঙ্গিফেরিনের মতো উপকারী যৌগ থাকে। এমন কিছু কিন্তু পাঁউরুটিতে নেই। তাছাড়া সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি, আম কোনও কোনও ক্ষেত্রে সুগারের রোগীদের ক্ষেত্রে উপকারীই। আম ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে। এছাড়া সাহায্য করে হজম করতে। শুধু ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে নয়, ডায়াবেটিসের সমস্যা নেই, এমন মানুষদের ক্ষেত্রেও আম রুটির তুলনায় ভাল । এমনকী যাঁরা ওজন ঝরানোর লক্ষ নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করছেন, তাঁরাও অল্প পরিমাণে আম খেতে পারেন। সাদা-রুটির থেকে তা অনেকাংশে ভাল। ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ড. অনন্যা ভৌমিক জানালেন, তিনি নিজেও তাঁর কাছে আসা হাই ব্লাড সুগারের রোগীদের আম থেকে বঞ্চিত করেন না। শুধু সুগারের পরিমাণ ও বাকি প্যারামিটার দেখে বেঁধে দেন মাত্রা। তাই আম খাওয়া বাদ নয়, বরং অন্য অনেক খাবারের থেকে আমকে এগিয়ে রাখা যেতে পারে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )























