Weight Loss: ওজন কমাতে আমিষ না নিরামিষ ? কোনটা বেশি ভাল বলুন তো
Plant Based Diet For Weight Loss: ওজন কমানোর জন্য অনেকেই খাবারে কাটছাঁট করেন। তবে আমিষ না নিরামিষ, কোনটা বেশি ভাল বলুন তো ?
কলকাতা: অনেকেই আমিষ খেতে ভালবাসেন। বাঙালির তো নামের সঙ্গেই রয়েছে মাছে-ভাতে কথাটা। আবার অনেকেই নিরামিষ খেতেই বেশি ভালবাসেন। অনেক দিন হল মাছ মাংস খাওয়াই ছেড়ে দিয়েছেন, এমন লোকও দেখা যায়। আমিষাশী হোন বা নিরামিষাশী, সেটা নিজস্ব পছন্দ। তবে শরীরের জন্য একটি বিশেষ ধরনের খাবারকেই সেরা বলছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেটি হল প্ল্যান্ট বেসড ডায়েট অর্থাৎ উদ্ভিজ্জ খাবার। যা কিন্তু আদতে নিরামিষ জাতীয় খাবারকেই বোঝানো হয়ে থাকে! কিন্তু ঠিক কী কারণে এই ধরনের খাবারকে সেরা বলা হচ্ছে ? কারণ ওজন কমাতেই নাকি এটি বেশি জরুরি।
প্ল্যান্ট বেসড ডায়েট কী ?
এটি আদতে উদ্ভিদজাত খাবারকে বোঝানো হয়ে থাকে। আমরা যা খাবার খাই, তার মূলত দুটি উৎস। একটি হল উদ্ভিদজগত। অন্যটি হল প্রাণীজগত। প্রাণীজগতের বেশ কিছু প্রাণী যেমন, মাছ, মুরগি বাস্তুতন্ত্রের নিয়ম মেনে আমাদের খাদ্য। কিন্তু প্ল্যান্ট বেসড ডায়েট করলে রোজ উদ্ভিদজাত খাবার খেতে হবে। এর মধ্যে কোনও প্রাণীজ খাবার থাকবে না। অর্থাৎ একদিক থেকে নিরামিষ হয়ে যেতে হবে। যদিও পেঁয়াজ, রসুন খেতেই পারেন। কারণ এগুলি উদ্ভিদজাত খাবার। তবে অনেকের সংস্কৃতির নিরিখে এই দুটি আমিষের ঘরেই পড়ে।
কেন প্ল্যান্ট বেসড ডায়েট ?
প্ল্যান্ট বেসড ডায়েটের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল ওজন ঝরানো।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: ক্যানসারের অন্যতম কারণ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস। এর থেকে কোশের ক্ষতি হতে থাকে। যার ফলে ক্যানসার কোশ তৈরির আশঙ্কা থাকে। অধিকাংশ উদ্ভিদজাত খাবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে সমৃদ্ধ। যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
- স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: উদ্ভিদজাত খাবার থেকে আমরা যে ধরনের ফ্যাট পাই, তা বেশিরভাগ সময় আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের জন্য ভাল ফ্যাট। অন্যদিকে প্রাণীজ ফ্যাট বেশিরভাগ সময় স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়। সেটি ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি হার্টের ক্ষতি করে। কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- ফাইবারে সমৃদ্ধ: উদ্ভিদজাত খাবার প্রচুর পরিমাণে ফাইবারে সমৃদ্ধ। এই ফাইবার শরীরের জন্য নানা কারণে জরুরি। পেট ভাল রাখে ফাইবার। এর পাশাাপাশি খাবার ঠিকমতো হজম করায়। ইনসুলিন হরমোনের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এটি। একই সঙ্গে রক্তে সুগার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এমনকি মেটাবলিক হারও ঠিক রাখে ফাইবার।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Kiwi Fruit Benefits: মনখারাপ, অবসাদে ভুগছেন ? মাত্র ৪ দিনে ফুরফুরে হবেন ! খেতে হবে এই ফলটা