World Heart Day: রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় যে ব্যায়ামগুলি
Health Tips: রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেও হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং আরও অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বেশ কিছু ব্যায়ামের মাধ্যমে কমতে পারে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা।
কলকাতা: বর্তমানে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) একটা আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুব কম সময়ের মধ্যে বহু মানুষ হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ হারিয়েছেন। সমীক্ষা অনুযায়ী জানা যায় এমনটাই। গত বছরের শেষের দিক থেকে চলতি বছর এই সময় পর্যন্ত বহু তারকা প্রাণ হারিয়েছেন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে। বিশেষজ্ঞরা জানান, হার্ট অ্যাটাক বা যেকোনও হৃদরোগের (Heart Disease) পিছনে মূল কারণ রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেও হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং আরও অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, বেশ কিছু ব্যায়ামের (Exercise) মাধ্যমে কমতে পারে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা।
যে ব্যায়ামগুলিতে কমে রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করা খুবই জরুরি। তবে, হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে প্রতিদিন সকালে ও বিকালে জগিং করতেই হবে। এতে রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় না। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ওবেসিটির ঝুঁকি কমে। দৌড়নো শরীরের জন্য জন্য সবসময়ই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নানা জটিল রোগের ঝুঁকিও কমায়।
২. সাইক্লিংয়ের উপকারিতা অনেক। হাঁটুর যেকোনও রোগ দূরে রাখতে সাহায্য করে সাইক্লিং। নিয়মিত সাইকেল চালানোর অভ্যাস ঝুঁকি কমায় হৃদরোগের। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল জমতে দেয় না এই ব্যায়াম।
আরও পড়ুন - Hair Care Tips: চুলে ব্লিচ করাবেন ভাবছেন? তাহলে এই জিনিসগুলো অবশ্যই খেয়াল রাখুন
৩. রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধের আরও একটি উপকারী ব্যায়াম হল সাঁতার। ছোটবেলা থেকে বহু শিশুকে তাদের বাবা-মায়েরা সাঁতারে ভর্তি করে দেন। এর উপকারিতা অনেক। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শরীরে মেদ জমতে দেয় না। যেকোনও বয়সের মানুষেরই সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত সাঁতার কাটা প্রয়োজন।
৪. সুস্থ থাকতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সঠিক লাইফস্টাইলও খুবই জরুরি। আর সুস্থ থাকতে নিয়মিত করতে হবে যোগাসন। এমনই জানান বিশেষজ্ঞরা। যোগাসনের উপকারিতা অনেক। শুধু হৃদরোগ প্রতিরোধ করাই নয়, যোগাসনের উপকারিতা বলে শেষ করার নয়। শারীরিক এবং মানসিক নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৫. আরও একটি উপকারী ব্যায়াম হল ডান্সিং। মনে আনন্দ আসে। আবার হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। একাধিক উপকারিতা রয়েছে নাচের। মেদ ঝরায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
তবে, যেকোনও ব্যায়ামের সঙ্গেই খাদ্যাভ্যাসও সঠিক রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তেলজাতীয়, মশলাজাতীয়, ভাজাভুজি খাওয়া একেবারেই চলবে না হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে। পরিবর্তে বেছে নিতে হবে, টাটকা ফল, সবুজ শাক সব্জি এবং প্রচুর পরিমাণে জল।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )