![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
India News:সড়ক নেই, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মায়ের কোলেই নিথর হয়ে গেল সন্তান
18 Month Old Child Died:কোলের সন্তানকে সাপে কেটেছে। অ্যাম্বুল্যান্স যে খুদেকে হাসপাতালে পৌঁছে দেবে, সে উপায় নেই। কারণ, সে অর্থে সড়কই তো নেই। অগত্যা ১৮ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন মা।
![India News:সড়ক নেই, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মায়ের কোলেই নিথর হয়ে গেল সন্তান 18 Month Old Child Died As Mother Could Not Reach Hospital Due To Lack Of Proper Road In Vellore India News:সড়ক নেই, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মায়ের কোলেই নিথর হয়ে গেল সন্তান](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/05/29/4a8a11b463559f1143622772421d0d321685347201557482_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
চেন্নাই: কোলের সন্তানকে সাপে (Snake Bite) কেটেছে। অ্যাম্বুল্যান্স যে খুদেকে হাসপাতালে (Hospital) পৌঁছে দেবে, সে উপায় নেই। কারণ, সে অর্থে সড়কই (Road) তো নেই। অগত্যা ১৮ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন মা। কিন্তু হাসপাতাল পৌঁছনোর আগেই সব শেষ। সন্তানশোকে পাথর মা, শোকের মেজাজ তামিলনাড়ুর ভেলোরে। ন্যূনতম পরিকাঠামোর অভাবে এমন মর্মান্তিক পরিণতি আর কত ঘটবে এ দেশে? উঠছে সেই প্রশ্নও।
কী ঘটেছিল?
মৃত শিশুর নাম ধনুষ্কা। তাকে সাপে কেটেছে টের পেতেই আর দেরি করেননি মা এবং আত্মীয়-পরিজনরা। দ্রুত শিশুকন্যাকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের এলাকায় ঠিকঠাক সড়ক যোগাযোগটুকু নেই। তাই হাসপাতালে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। যদিও ভেলোরের কালেক্টরের বক্তব্য, মিনি অ্যাম্বুল্যান্স ছিল। পরিবারটি আশাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই শিশুটি অন্তত ফার্স্ট এডটুকু পেতে পারত। কিন্তু তা না করে নিজেরাই খুদেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে রওনা দেন, দাবি কালেক্টরের। তাঁর আরও দাবি, 'যে অঞ্চলে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানকার প্রায় দেড় হাজার বাসিন্দার জন্য ইতিমধ্য়েই সড়ক তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বন দফতরের কাছ থেকে ছাড়পত্র পেতে অনলাইনে আবেদনপত্র নেওয়ার পর্ব শেষ। আপাতত আন্নাইকাট্টু পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া...
তামিলানড়ু বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই বলেন, 'ভেলোরের ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। স্রেফ রাস্তা না থাকায় বছরদেড়েকের একটি শিশু সর্প দংশনে মারা গেল। হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া গেল না তাকে। ওর মা-বাবার জন্য সান্ত্বনা রইল।' তাঁর মতে, এভাবে রাস্তার অভাবে শিশুমৃত্যুর ঘটনা মানা যায় না। তার উপর যদি অভিভাবককেই সেই শিশুর দেহ নিয়ে কয়েক কিলোমিটার হাঁটতে হয়, তা হলে তা আরও মর্মান্তিক দাঁড়ায়। তবে এই ঘটনা শুধু যে তামিলনাড়ুর তা নয়। কিছু দিন আগেই এক ছবি দেখে শিউরে উঠেছিলেন এই রাজ্যের মানুষ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ মৃত্যু হয় কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মার ৫ মাসের শিশুর। এরপর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে শিশুর দেহ ব্যাগে নিয়ে ১০ কিলোমিটার রাস্তা টোটোয় করে বাবা প্রথমে পৌঁছন তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত ১৭৭ কিলোমিটার রাস্তা আসেন বাসে করে। এরপর, রায়গঞ্জ থেকে ফের বাসে ২৫ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে পৌঁছন কালিয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে, তার পর সেখান থেকে আরও ৮ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে, সন্তানের দেহ নিয়ে বাড়ি পৌঁছন অসীম দেবশর্মা। মৃত শিশুর বাবার অভিযোগ, হাসপাতাল সুপারকে গোটা ঘটনার কথা জানালে কোনও ব্য়বস্থা করা হয়নি। গোটা ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায়।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)