Maoist Attack:বীজাপুরে মাওবাদী হানা, নিহত ৩ সিআরপিএফ জওয়ান
CRPF Jawans Lost Life:বীজাপুরে ফের মাওবাদী হানায় নিহত ৩ সিআরপিএফ জওয়ান। বীজাপুরের জোনাগুড়া-আলিগুড়ার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা চলেছে বলে খবর।
ছত্তীসগঢ়: বীজাপুরে ফের মাওবাদী হানায় নিহত ৩ সিআরপিএফ জওয়ান (Maoist Attack In Bijapur)। বীজাপুরের জোনাগুড়া-আলিগুড়ার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা চলেছে বলে খবর। সিআরপিএফের সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির এই লড়াইয়ে নিহত ৩ জওয়ান। জখম ১৪।
কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, নিহতদের ৩ জনের মধ্যে ২ জনই CoBRA বাহিনীর সদস্য ছিলেন। কনস্টেবল দেবেন সি এবং পবন কুমার বলে তাঁদের পরিচয় জানা গিয়েছে। নিহত তৃতীয় জন, কনস্টেবল লাম্বধার সিনহা সিআরপিএফের ১৫০ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরতন ছিলেন। পুলিশের আইজি (বস্তার রেঞ্জ) পি সুন্দররাজ জানান, মঙ্গলবার দুপুরে অভিযানে বেরিয়েছিলেন নিরাপত্তাবাহিনীর আধিকারিকরা। CoBRA বাহিনীর ২০১ নম্বর ব্যাটালিয়ন এবং সিআরপিএফের ১৫০ নম্বর ব্যাটালিয়ন একটি 'ফরওয়ার্ড অপারেটিং বেস' তৈরির চেষ্টা করছিল। দুপুর ১টা নাগাদ আচমকা বীজাপুর-সুকমা জেলার সীমানা লাগায়ো তেকুলাগুড়েম গ্রামের কাছে তাঁদের উপর গুলিবৃষ্টি শুরু করে মাওবাদীরা, এমনই দাবি প্রশাসনের। দু'পক্ষের লড়াইয়ে ৩ জন সিআরপিএফ জওয়ানের প্রাণহানির পাশাপাশি ১৪ জন জখম হন বলে খবর। জখমদের দ্রুত 'এয়ারলিফ্ট' করে রায়পুর নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা সেখানে চিকিৎসাধীন, তবে বিপন্মুক্ত বলে সূত্রের খবর।
ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী শহর রায়পুর থেকে ৬১৬ কিলোমিটার দূরে এই গ্রামে নিরাপত্তাবাহিনীর একটি নতুন শিবির তৈরি করা হয়েছিল। শিবির তৈরির পর জোনাগুড়া-আলিগুড়া এলাকায় মাওবাদী-বিরোধী অভিযান শুরু করেন নিরাপত্তাবাহিনীর আধিকারিকরা। জঙ্গলের আড়াল থেকে শুরু হয় গুলিবৃষ্টি। পরে নিরাপত্তাবাহিনী পাল্টা দিতে শুরু করলে জঙ্গলের গভীরে পালিয়ে যায় মাওবাদীরা।
আর যা...
২০২১ সালে এই তেকুলাগুড়েম গ্রামেই একটি হামলায় ২৩ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২২ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর ১০ জন সদস্য, ৩৩ জন সাধারণ নাগরিক এবং ৩২ জন মাওবাদীর প্রাণ গিয়েছিল ছত্তীসগঢ়ে। অন্য দিকে, গত নভেম্বরে ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন নিরাপত্তাবাহিনীর দুজন সদস্যকে খুন করে মাওবাদীরা। যদিও নতুন বিজেপির সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কোনও বড় মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটল। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গোড়াতেই ছত্তীসগঢ়ে 'লেফট উইং এক্সট্রিমিজম'-র পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে রায়পুরে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে শাহ জানিয়েছিলেন, আগামী ৩ বছরের মধ্যে মাওবাদী-উপদ্রব শেষ করতে হবে। বস্তুত, গত নভেম্বর থেকেই সুকমা এবং বীজাপুর জেলা মিলিয়ে ৯টি নতুন পুলিশ ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। তার পরই এই ঘটনা।
আরও পড়ুন:রাজনীতিতে পা রাখছেন ‘থলপতি’ বিজয়, গোড়াতেই নিজের দলের সভাপতি হলেন, শীঘ্রই ঘোষণা