এক্সপ্লোর
পাহাড় খুঁড়ে বেরল মরা ইঁদুর! সনিয়াকে কটাক্ষ খট্টারের, বিজেপির মহিলা-বিদ্বেষের প্রতিফলন, ক্ষমা চান, দাবি কংগ্রেসের
কংগ্রেসের মহিলা শাখার প্রধান সুস্মিতা দেব এক বিবৃতিতে এর নিন্দায় বলেছেন, কংগ্রেস সভানেত্রী সম্পর্কে খট্টারের মন্তব্য নিন্দনীয়, অসংসদীয়। এটা বিজেপির মহিলাদের প্রতি অবমাননাকর মানসিকতার পরিষ্কার নমুনা। খট্টারের কটাক্ষ আসল ইস্যুগুলি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা বলেও দাবি করে তিনি বলেন, কর্মহীনতা, অর্থনীতি মারাত্মক ঝিমিয়ে পড়ার মতো প্রকৃত ইস্যু এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে, আলোচনার মান নীচে নামিয়ে আনা তা থেকে নজর ঘোরানোরই প্রয়াস। কেউ কি অস্বীকার করতে পারেন, হরিয়ানা ভারতের ধর্ষণ রাজধানী হয়ে উঠেছে? অপহরণ, ছিনতাই বাড়ছে।

নয়াদিল্লি: কৈথালে কংগ্রেসের ঘরোয়া কলহের দিকে ইঙ্গিত করে সনিয়া গাঁধী সম্পর্কে হরিয়ানার মু্খ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টারের কটাক্ষের তীব্র নিন্দা করল কংগ্রেস। খট্টারের মন্তব্য বিজেপির ‘নারী-বিদ্বেষী মানসিকতা’র প্রতিফলন বলে অভিযোগ করে এজন্য তাদের ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি করেছে তারা। কয়েকদিন আগে কৈথালের জনসভায় কংগ্রেস সভানেত্রী হিসাবে সনিয়ার প্র্রত্যাবর্তনকে খোঁচা দিয়ে খট্টার বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি বললেন, আমি আর চালাতে চাই না, অন্য কাউকে খুঁজে নিন, আর তিনি যেন অবশ্যই গাঁধী পরিবারের বাইরের কেউ হন। পাপ্পু এই ঘোষণা করে ইস্তফা দিল। ওরা টর্চ নিয়ে খোঁজা শুরু করল অ-গাঁধী পরিবারের কাউকে। তিন মাস পর ওরা সনিয়া গাঁধীকে সভাপতি পদে বসাল। পাহাড় খুঁড়ে শেষ পর্যন্ত বেরল ইঁদুর, তাও মরা! কারণ সনিয়া, রাহুল আর গাঁধী পরিবারের বাইরে কিছুই দেখতে পায় না ওরা। রবিবার খারকোডার বিজেপি জনসভায়ও ‘খোড়া পাহাড়, নিকলি চুহা’-এই হিন্দি প্রবাদ বাক্যের পুনরাবৃত্তি করেন খট্টার। কংগ্রেস ও জননায়ক জনতা পার্টি জোটকে ‘পরিবারকেন্দ্রিক’ আখ্যা দিয়ে তাদের প্রত্যাখ্যানের ডাক দেন খট্টার। কংগ্রেসের মহিলা শাখার প্রধান সুস্মিতা দেব এক বিবৃতিতে এর নিন্দায় বলেছেন, কংগ্রেস সভানেত্রী সম্পর্কে খট্টারের মন্তব্য নিন্দনীয়, অসংসদীয়। এটা বিজেপির মহিলাদের প্রতি অবমাননাকর মানসিকতার পরিষ্কার নমুনা। খট্টারের কটাক্ষ আসল ইস্যুগুলি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা বলেও দাবি করে তিনি বলেন, কর্মহীনতা, অর্থনীতি মারাত্মক ঝিমিয়ে পড়ার মতো প্রকৃত ইস্যু এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে, আলোচনার মান নীচে নামিয়ে আনা তা থেকে নজর ঘোরানোরই প্রয়াস। কেউ কি অস্বীকার করতে পারেন, হরিয়ানা ভারতের ধর্ষণ রাজধানী হয়ে উঠেছে? অপহরণ, ছিনতাই বাড়ছে। হরিয়ানার জনগণ, বিশেষত মহিলাদের জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলা সত্যিকারের ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোনও উত্তর নেই। বিজেপির ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে অপরাধের মাপকাঠিতে হরিয়ানা দেশে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, পুলিশকর্মীর সংখ্যায় মারাত্মক ঘাটতি আছে। ২৭ শতাংশ! উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে এই অভাব চতুর্থ, পঞ্জাবের ঘাটতির চারগুণ। আমরা, কংগ্রেসকর্মীরা জনজীবনে মানুষের সম্মান বজায় রাখায় দায়বদ্ধ, কিন্তু একজন মহিলা হিসাবে যে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছে, তাতে তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি, নিঃশর্ত ক্ষমা দাবি করছি।
कांग्रेस अध्यक्ष श्रीमती सोनिया गांधी जी के खिलाफ अपने तुच्छ बयान, महिलाओं के अपमान और असामाजिक सोच के लिए मुख्यमंत्री खट्टर को देश की समस्त महिलाओं से माफी मांगनी चाहिए।#MaafiMaangoKhattar pic.twitter.com/zxBzeLQjqU
— Congress (@INCIndia) October 14, 2019
কংগ্রেসও ট্যুইট করেছে, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অশালীন, তিনি নিম্ন স্তরে নামিয়েছেন নিজেকে, তা বিজেপির মহিলা-বিদ্বেষী চেহারা তুলে ধরে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করে দাবি করছি, তিনি অবিলম্বে ক্ষমা চান। খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও পড়ুন






















