এক্সপ্লোর
Advertisement
'ওঁরা মামুলি সুরক্ষার পাওয়ার লোক নন!' গাঁধী পরিবারের সদস্যদের এসপিজি কভার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংসদে সরব অধীর
আজ লোকসভায় বহরমপুরের সাংসদ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি সভা বসতেই এই ইস্যুতে বলতে চেয়ে অনুমতি পাননি। কংগ্রেস এমপিরা স্পিকার ওম বিড়লার আসনের দিকে এগিয়ে গিয়ে ‘নিরাপত্তার নামে রাজনীতি বন্ধ করো’, ‘একনায়কতন্ত্রের অবসান হোক’, ‘প্রধানমন্ত্রী জবাব দিন’, ‘আমরা ন্যয় বিচার চাই’ স্লোগান দেন।
নয়াদিল্লি: সংসদে গাঁধী পরিবারের সদস্যদের দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা, এসপিজি সুরক্ষা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ কংগ্রেসের। গতকাল অধিবেশনের সূচনার দিনই সরকারের সিদ্ধান্তের নিন্দা করে কংগ্রেস। লোকসভায় মঙ্গলবারও এই ইস্যু তুলে সরব হন কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি। সম্প্রতি কেন্দ্রের সরকার সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার এসপিজি নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে তাঁরা সিআরপিএফ জওয়ানদের দেওয়া জেড প্লাস ক্যাটাগরির সুরক্ষা পাবেন বলে ঠিক হয়েছে। কিছুদিন আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহেরও এসপিজি সুরক্ষা তুলে নিয়ে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকার প্রতিহিংসার মনোভাব নিয়েছে।
আজ লোকসভায় বহরমপুরের সাংসদ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি সভা বসতেই এই ইস্যুতে বলতে চেয়ে অনুমতি পাননি। কংগ্রেস এমপিরা স্পিকার ওম বিড়লার আসনের দিকে এগিয়ে গিয়ে ‘নিরাপত্তার নামে রাজনীতি বন্ধ করো’, ‘একনায়কতন্ত্রের অবসান হোক’, ‘প্রধানমন্ত্রী জবাব দিন’, ‘আমরা ন্যয় বিচার চাই’ স্লোগান দেন। ডিএমকে, ন্যাশনাল কনফারেন্স সহ অন্য বিরোধী দলগুলিও সরব হয়। কিন্তু স্পিকার সভার অধিবেশন চালিয়ে যান, ২০২২ নাগাদ কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করেন। বিরোধীরা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চালিয়ে গেলে তিনি সভা চালাতে সহযোগিতার আবেদন করেন। বলেন, কৃষক সমস্যা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আপনারা আলোচনায় আগ্রহী নন, এটা ভাল নয়।
নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করে অধীর বলেন, সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী সুরক্ষার অধিকারপ্রাপ্ত মামুলি, সাধারণ মাপের কেউ নন। প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ী গাঁধী পরিবারের সদস্যদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) সুরক্ষা অনুমোদন করেছিলেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দুবার এনডিএ কেন্দ্রে সরকার গড়েছে, কিন্তু ওঁদের এসপিজি নিরাপত্তা বলয় কখনও প্রত্যাহার করা হয়নি।
১৯৯১ এর ২১ মে রাজীব গাঁধী প্রাণঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হওয়ার পর থেকেই গাঁধী পরিবারকে এসপিজি সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
দলনেতার প্রতিবাদের পাশাপাশি এসপিজি কভার প্রত্যাহারের ইস্যুতে লোকসভায় মুলতুবি নোটিসও দেন কংগ্রেস এমপি কে সুরেশ।
কেন্দ্রের সরকারের অবশ্যের দাবি, রাহুল, সনিয়াদের জীবনের ঝুঁকি, বিপদ কতটা, তা সমীক্ষা করে খতিয়ে দেখার পরই এসপিজি বলয় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগ তোলা হয়েছে, রাহুল দেশ-বিদেশ সফরে কখনই এসপিজি সুরক্ষার গাইডলাইন মেনে চলেন না, নিরাপত্তাবাহিনীকেও অন্ধকারে রাখেন।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement