(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
বায়ুসেনার নিখোঁজ বিমানের পাইলটকে জোরহাট এটিসি থেকে ওড়ার সবুজ সঙ্কেত দেন স্ত্রী
বিমানটি টেক অফের সময় ডিউটিতেই ছিলেন সন্ধ্যা। পাইলট স্বামীকে তিনিই ওড়ার সবুজ সঙ্কেত দেন। ওড়ার আধ-ঘণ্টার মধ্যেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনিই প্রথম টের পান।
জোরহাট ও নয়াদিল্লি: এএন-৩২ বিমান নিয়ে নিখোঁজ হওয়া ভারতীয় বায়ুসেনার দুই অফিসারের হদিশ পেতে কেন্দ্রকে তল্লাশি-অভিযান আরও জোরদার করার অনুরোধ করল পরিবার। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অনীশ তনোয়ারের মা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আর্জি জানান, নিখোঁজ বিমান ও তার সওয়ারীদের যত দ্রুত সম্ভব বের করতে সর্বান্তকরণ চেষ্টা করতে। হরিয়ানার পলবল জেলার অন্তর্গত দীঘোট গ্রামের বাসিন্দা ২৯ বছরের অনীশ বি.টেক করার পর ২০১৩ সালে বায়ুসেনায় যোগ দেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি বায়ুসেনা অফিসার সন্ধ্যাকে বিয়ে করেন। বর্তমানে অসমের জোরহাটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল অফিসার হিসেবে কর্মরত সন্ধ্যা, ঠিক সেখানে, যেখান থেকে স্বামী অনীশকে সঙ্গে নিয়ে ওড়ে এএন-৩২ বিমানটি। খবরে প্রকাশ, বিমানটি টেক অফের সময় ডিউটিতেই ছিলেন সন্ধ্যা। পাইলট স্বামীকে তিনিই ওড়ার সবুজ সঙ্কেত দেন। ওড়ার আধ-ঘণ্টার মধ্যেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনিই প্রথম টের পান। অপরদিকে, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোহিত গর্গের পরিবারও ভীষণ চিন্তিত। ছেলের নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনেই ভাই ঋষিপালকে নিয়ে অসমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন সুরিন্দরপাল সিংহ। মোহিতের বিয়ে গত বছর হয়েছে। তাঁর স্ত্রী অসমের একটি ব্যাঙ্কে কর্মরতা। গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ, ৮ জন বায়ুসেনা কর্মী সহ ১৩ জন যাত্রী নিয়ে অসমের জোরহাট থেকে চিন-সীমান্ত লাগোয়া মেনচুকা অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডের উদ্দেশে রওনা দেয় রুশ-নির্মিত ‘অ্যান্টোনভ এএন-৩২’ বিমানটি। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এটিসি-র সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এদিকে, বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, নিখোঁজ বিমান ও তার সওয়ারীদের খোঁজে দিনরাত তল্লাশি-অভিযান চলছে। বায়ুসেনা মুখপাত্র গ্রুপ ক্যাপ্টেন অনুপম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঘন জঙ্গল থেকে শুরু করে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল এবং প্রতিকূল আবহাওয়া ও পরিবেশের মোকাবিলা করেই অরুণাচলের পশ্চিম সিয়াং জেলার মেচুকায় খোঁজ প্রক্রিয়া চলছে। ঠিক ১০ বছর আগে, ২০০৯ সালের জুন মাসে এই অঞ্চলেই বায়ুসেনার আরেকটি এএন-৩২ বিমান নিখোঁজ হয়ে যায়। কাকতালীয়ভাবে, সেই ঘটনায় ১৩ জন বায়ুসেনা মারা যান। হেয়ো গ্রামের রিঞ্চি পর্বতের কাছে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়।