Durga Puja Pandal Order: দর্শকশূন্যই থাকবে পুজো মণ্ডপ, আগের রায় বহাল হাইকোর্টের
আদালত আরও বলেছে, ‘করোনা বিধি মেনে নো এন্ট্রি জোনে থাকতে পারবেন ঢাকিরা।’
কলকাতা: দর্শকশূন্যই থাকবে পুজো মণ্ডপ, আগের রায় বহাল হাইকোর্টের। পুনর্বিবেচনার আর্জির প্রেক্ষিতে এই রায় জানাল বেঞ্চ।
তবে, পুজো-অনুমতি রায়ে আংশিক পরিবর্তন করেছে হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের বেঞ্চ বলল, ‘বড় পুজোয় প্রবেশের জন্য ৬০ জনের তালিকা বানাতে হবে। ৬০ জনের তালিকা হলেও একসঙ্গে থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ ৪৫ জন। ৩০০ বর্গ মিটারের কম মাপের মণ্ডপের জন্য ১৫ জনের তালিকা। ১৫ জনের তালিকা হলেও একসঙ্গে থাকতে পারবেন ১০ জন। উদ্যোক্তা ও স্থানীয়দের নামের তালিকা রোজ আপডেট করা যাবে।’
আদালত আরও বলেছে, ‘করোনা বিধি মেনে নো এন্ট্রি জোনে থাকতে পারবেন ঢাকিরা।’ এদিনের শুনানি চলাকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘কেন্দ্রের শেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী ধর্মীয় স্থানে যাওয়া যাবে।’ উত্তরে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘হ্যাঁ যাওয়া যাবে, কিন্তু দূরত্ব বজায় রেখে।’
রাজ্যের প্রতিটি পুজো মণ্ডপ দর্শকশূন্য থাকবে বলে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের এই পুজো-রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে গতকাল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করে পুজো উদ্যোক্তাদের ফোরাম।
ফোরামের বক্তব্য, পুজোর প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এই অবস্থায় পরিকাঠামোগত পরিবর্তন করতে হলে সমস্যা হবে। এছাড়াও, বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের ভৌগলিক অবস্থান বিভিন্ন রকম। ফলে, সব জায়গা ঘিরে দেওয়া হলে স্থানীয়দের যাতায়াতে সমস্যা হবে।
করোনা আবহে সব পুজো প্যান্ডেলকে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার এই ঐতিহাসিক রায় দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা বলেন, ছোট পুজোর প্যান্ডেলের শেষ সীমা থেকে থেকে ৫ মিটার এবং বড় পুজোর ক্ষেত্রে ১০ মিটার বাইরে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলতে হবে। ঘেরা এলাকাটি হবে ‘নো এন্ট্রি’ জোন।
আদালতের এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে এদিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চেই আবেদন জানিয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। ফোরামের বক্তব্য, বেশিরভাগ পুজো হয় গলিতে, লোক বের হবে কী করে? তাঁদের আরও দাবি, ২৫ জনের পক্ষে সম্ভব নয় টানা কাজ করা।
গতকাল ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের আবেদন গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্ট। করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৬ অক্টোবর থেকে সল্টলেক আমরি হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে, পুজো নিয়ে আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। বলেন, আদালত যা করেছে ঠিক করেছে। প্রাণ আগে, আমি হাসপাতালে থেকে মানুষের যন্ত্রণা দেখেছি।