করোনা পর্বে ভারতে প্রযুক্তি সংস্থাগুলি কার্বন নির্গমন কমেছে ৮৫ শতাংশ
আনআর্থইনসাইটের হিসেব অনুযায়ী, ২০২১ অর্থবর্ষে যাতায়াতের খরচ বাবদ আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি খরচ করেছে মাত্র ৭৫০ মিলিয়ন ডলার। ২০২০ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ২.৯ বিলিয়ন ডলার। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস) লিমিটেড, ইনফোসিস লিমিটেড, এইচসিএল টেকনোলজিস লিমিডেট, উইপ্রো লিমিটেড ও টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেডের মতো পাঁচ প্রথমসারির আইটি পরিষেবা কোম্পানি ২০২১ অর্থবর্ষে যাতায়াতে ৩৭০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। ২০২০ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ১.৪ বিলিয়ন ডলার।
ব্যাঙ্গালোর:করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিধ্বংসী ঢেউ কেড়ে নিয়েছে অসংখ্য মানুষের প্রাণ। আক্রান্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ। অতিমারী নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। এর প্রত্যক্ষ প্রভাবে রুটিরুজি হারিয়েছেন অনেক মানুষ। এরইমধ্যে ভারতের প্রযুক্তি আউটসোর্সিং শিল্পে ক্ষেত্রে পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক কার্বন নির্গমনের হার প্রায় ৮৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। ২০২১ অর্থবর্ষে প্রাক অতিমারী পর্বের ২ মিলিয়ন টন থেকে কার্বন নির্গমন ৮৫ শতাংশ কমে হয়েছে ০.৩ মিলিয়ন টন। মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম আনআর্থইনসাইটের সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। ২১ অর্থবর্ষে আইটি, আইটিইএস, ইঞ্জিনিয়ারিং, গ্লোবাল ক্যাপাসিটি সেন্টার ও স্টার্টআপ সহ প্রায় ২০০০ প্রযুক্তি আউটসোর্সিং কোম্পানিকে নিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়।
আনআর্থইনসাইটের হিসেব অনুযায়ী, ২০২১ অর্থবর্ষে যাতায়াতের খরচ বাবদ আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি খরচ করেছে মাত্র ৭৫০ মিলিয়ন ডলার। ২০২০ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ২.৯ বিলিয়ন ডলার। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস) লিমিটেড, ইনফোসিস লিমিটেড, এইচসিএল টেকনোলজিস লিমিডেট, উইপ্রো লিমিটেড ও টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেডের মতো পাঁচ প্রথমসারির আইটি পরিষেবা কোম্পানি ২০২১ অর্থবর্ষে যাতায়াতে ৩৭০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। ২০২০ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ১.৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ প্রায় ৭৫ শতাংশ কম।
আনআর্থইনসাইটের সিইও তথা প্রতিষ্ঠাতা গৌরব বাসু বলেছেন, কোভিড পর্বের আগেই আধুনিক কাজের মডেল, ইলেকট্রিক মোবিলিটির মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। এরসঙ্গে ডিজিটাল যন্ত্র ও প্রযুক্তি পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে বদলে দিয়েছে। এখনকার এই কার্বন নির্গমনে হ্রাস বেশ দীর্ঘস্থায়ীই হতে চলেছে।
কোভিডের প্রকোপ এই শিল্পক্ষেত্রের বৃহৎ সংস্থাগুলি ডিজিটাল ক্যাম্পাস হায়ারিংয়ের মতো প্রযুক্তির বৃহত্তর ব্যবহার শুরু করেছে। এরফলে কার্বন নির্গমনের হার অনেকটাই কমে গিয়েছে। দেশজুড়ে ১০০০-এর বেশি ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য কার্বন নির্গমন হত।
কোভিড -১৯ বিঘ্ন সবচেয়ে বড় শিল্প খেলোয়াড়কে পাইলট থেকে বৃহত আকারে প্রযুক্তি ডিজিটাল ক্যাম্পাস নিয়োগের প্ল্যাটফর্মের মতো স্থাপনায় স্থানান্তরিত করেছিল যা এর আগে দেশজুড়ে 1000+ এরও বেশি ক্যাম্পাসে ভ্রমণের মাধ্যমে কার্বন নির্গমনকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে সহায়তা করেছিল। আনআর্থইনসাইট এ কথা জানিয়েছে।
হিসেব অনুযায়ী, দুটি প্রথমসারির আইটি কোম্পানি প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার নতুন কর্মী এন্ড টু এন্ড ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিয়োগ করেছে।