(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Chhattisgarh: শববাহী যান না পেয়ে মেয়ের মৃতদেহ কাঁধে ১০ কিমি হেঁটে গেলেন বাবা!
Chhattisgarh News: এর আগে একাধিকবার অ্যাম্বুল্যান্স বা শববাহী গাড়ি না পেয়ে মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে হেঁটে যাওয়ার ঘটনা দেখা গিয়েছে। ফের এই ঘটনা দেখা গেল ছত্তীসগঢ়ের সুরগুজা জেলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ভাইরাল।
অম্বিকাপুর: ফের মর্মান্তিক ঘটনা! সাত বছরের মেয়ের মৃত্যুর পর শববাহী যান (Hearse) না পেয়ে তার মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে ১০ কিলোমিটার হেঁটে বাড়িতে গেলেন বাবা। এই ঘটনা ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের (Chhattisgarh) সুরগুজা জেলায় (Surguja district)। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল। এরপরেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি এস সিংহ দেও (TS Singh Deo) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল সুরগুজা জেলার লখনপুর গ্রামের (Lakhanpur village) স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Lakhanpur Community Health Centre) অসুস্থ মেয়ে সুরেখাকে নিয়ে যান আমডালা গ্রামের বাসিন্দা ঈশ্বর দাস। মেয়েটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এরপর শববাহী যান না পেয়ে মেয়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়েই হেঁটে বাড়ি যান ঈশ্বর দাস।
মেয়েটির পরিবার অপেক্ষা করেনি, দাবি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের
রুরাল মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ড. বিনোদ ভার্গব জানিয়েছেন, ‘মেয়েটির শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অত্যন্ত কম ছিল, ৬০-এর মতো। তার বাবা-মা জানান, সে কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। চিকিৎসা শুরু হয়েছিল, কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। আমরা তার পরিবারের লোকজনকে জানাই, দ্রুত শববাহী যান চলে আসবে। সকাল ৯টা বেজে ২০ মিনিটে শববাহী যান এসে পৌঁছয়। কিন্তু ততক্ষণে মেয়েটির দেহ নিয়ে তার পরিবারের লোকজন চলে যান।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মেয়ের নিথর দেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটছেন ঈশ্বর দাস। এরপরেই এ বিষয়ে মুখ খোলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি ভিডিওটি দেখেছি। এই ভিডিও দেখে আমি অত্যন্ত বিচলিত। আমি সুরগুজা জেলার চিফ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেলথ অফিসারকে এই ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আমি আরও বলেছি, যাঁদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে অথচ তাঁরা দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না বা করছেন না, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া উচিত।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে আধিকারিক ও কর্মীরা সেই সময় ছিলেন, মেয়েটির পরিবারের লোকজনকে ভালভাবে বোঝানো উচিত ছিল তাঁদের। স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই মেয়েটির পরিবারকে অপেক্ষা করতে বলা উচিত। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’