Coronavirus in India: ভারতের করোনা পরিস্থিতি মর্মান্তিক, বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান
ভারতের এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই সংস্থা ভারতে বেশ কিছু অক্সিজেন মেশিন সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রেডোস। তিনি বলেছেন, সাধ্যমতো সব কিছুই করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন। গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম ও সরবরাহ করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লি : দেশজুড়ে চলছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট। পরিস্থিতির ক্রমশই অবনতি হচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতালে বেড ও অক্সিজেন না পেয়ে রোগীদের মৃত্যুর খবর আসছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকেই মর্মান্তিক ঘটনার খবর সামনে আসছে। ভারতের চলতি করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) উদ্বেগ প্রকাশ করল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ট্রেডোস আধানোম ঘেব্রিয়েসাস বলেছেন, ভারতের করোনা পরিস্থিতির খুবই অবনতি হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি হৃদয়বিদারক।
ট্রেডোস বলেছেন, ভারতের করোনা পরিস্থিতি খুবই সঙ্গিন হয়ে উঠেছে। কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে বলা হয়ে থাকে হৃদয়বিদারক। কিন্তু ভারতের পরিস্থিতি এর চেয়েও খারাপ।
ট্রেডোস বলেছেন, বেশ কয়েকটি দেশকে এখনও করোনাজনিত গুরুতর সংকটের সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু ভারতের যে ছবি সামনে এসেছে তা মর্মান্তিক।
ভারতের এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই সংস্থা ভারতে বেশ কিছু অক্সিজেন মেশিন সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রেডোস। তিনি বলেছেন, সাধ্যমতো সব কিছুই করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন। গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম ও সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বাস্থ্য সংগঠন অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ল্যাবরেটরির সরঞ্জাম সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠাচ্ছে।
অতিমারী মোকাবিলায় ভারতের কর্তৃপক্ষকে সাহায্যের জন্য হু পোলিও ও টিবি সহ তাদের বিভিন্ন কর্মসূচীর বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ২,৬০০ জনকে বদলি করেছে।
উল্লেখ্য, ভারত সম্প্রতি করোনার হটস্পট হয়ে উঠেছে। এই অতিমারীতে এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৩০ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ বাড়ছে মৃত্যুও ৷ সোমবারের পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে তিন লক্ষ পার করেছে সংক্রামিতের সংখ্যা ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত একদিনে ভারতে করোনা আক্রান্ত ৩,৫২,৯৯১ জন ৷ মৃত্যু হয়েছে ২৮১২ জনের ৷ পাশাপাশি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২,১৯,২৭২ জন ৷
এভাবে প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সেইসঙ্গে হাসপাতালে বেড ও অক্সিজেনের অভাবের অভিযোগে পরিস্থিতির উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।