Edible Oil Price: কেজি প্রতি ৩-৪ টাকা করে কমতে পারে ভোজ্য তেলের দাম
Edible Oil Price: সবজি সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম গত কয়েকমাসে অনেক বেড়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ফলে সবজির বাজার চড়া। এই পরিস্থিতিতে ভোজ্য তেলের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি।
নয়াদিল্লি: সারা দেশেই গত একমাসে ভোজ্য তেলের দাম কেজি প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা করে কমেছে। আগামী কয়েক মাসে ভোজ্য তেলের দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা করে কমবে। এমনই জানাল বণিকসভা সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (এসইএ)। এর কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, আমদানি শুল্ক কমেছে, দেশে তৈলবীজের ফলন খুব ভাল হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমেছে। তার ফলেই দেশের বাজারেও দাম কমছে।
এসইএ-র সভাপতি অতুল চতুর্বেদী জানিয়েছেন, ‘গত কয়েকমাস ধরেই দেশে ভোজ্য তেলের দামে মানুষ নাজেহাল হয়ে যাচ্ছিলেন। এর কারণ হল, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম অত্যধিক বেড়ে গিয়েছিল। পাম তেল, সোয়া তেল, সানফ্লাওয়ার তেলের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছিল। দীপাবলির আগে এসইএ-র পক্ষ থেকে সদস্যদের যতটা সম্ভব দাম কমাতে বলা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারও ভোজ্য তেলের আমদানি শুল্ক কমায়। আমরা খুশি যে এই উদ্যোগের ফলে গত ৩০ দিনে ভোজ্য তেলের দাম প্রতি কেজি ৮ থেকে ১০ টাকা করে কমেছে।’
এসইএ সভাপতি আরও বলেছেন, ‘আমাদের সদস্যরা সবার কথা ভেবে ভোজ্য তেলের দাম যতটা সম্ভব কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার আমদানি শুল্ক কমানোর পর আমাদের সদস্যরা মানুষকে উৎসবের মরসুমের উপহার হিসেবে দাম কমাতে রাজি হয়েছেন। আমাদের আশা, আগামীদিনে ভোজ্য তেলের দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা করে কমবে। এর ফলে উৎসবের মরসুমে মানুষ স্বস্তি পাবেন।’
এ বছর দেশে সোয়াবিনের ফলন হয়েছে প্রায় এক কোটি ২০ লক্ষ টন। চিনাবাদামের ফলন হয়েছে ৮০ লক্ষ টন। সর্ষের ফলনও খুব ভাল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ৭৭.৬২৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে সর্ষের চাষ করছেন কৃষকরা। ফলে দেশের বাজারে সর্ষের তেল ৮ থেকে ১০ লক্ষ টন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।