আইএনএক্স মামলায় তিহাড় জেলেই ইডি-র হাতে গ্রেফতার পি চিদম্বরম
গতকাল জেলে গিয়ে চিদম্বরমকে জেরা করা এবং প্রয়োজনে গ্রেফতারের অনুমতি দেন বিশেষ বিচারক অজয় কুমার কুহার।
নয়াদিল্লি: আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের(ইডি) হাতে গ্রেফতার হলেন পি চিদম্বরম। বুধবার সকালে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে জেরা করতে তিহাড় জেলে পৌঁছয় ডেপুটি ডিরেক্টর মহেশ শর্মার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ইডির টিম। জেরার পরই, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি-র এক কর্তা জানান, যেহেতু চিদম্বরমের হেফাজত নিয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ নেই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে, তাই আদালতের নির্দেশ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গ্রেফতারের সময় ৭৪-বছর বয়সী কংগ্রেস নেতার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন স্ত্রী নলিনী ও ছেলে কার্তি। প্রসঙ্গত, গতকাল এই মামলায় চিদম্বরমকে গ্রেফতার ও জেরার অনুমতি আদালতের কাছে চেয়েছিল ইডি। বিচারক দুটিই মেনে নেন বিশেষ বিচারক অজয় কুমার কুহার, তবে বিপরীত ফর্ম্যাটে। বিচারক জানিয়েছিলেন, এজেন্সি প্রথমে তাঁকে জেরা করবে, একবার জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে। আদালত জানিয়েছিল, যদি আর্থিক তছরুপ রোধ আইন অনুযায়ী কোনও নতুন যথাযথ কারণ দেখাতে পারে ইডি, তাহলে তারা চিদম্বরমকে গ্রেফতার করতেই পারে। চিদম্বরমের পক্ষের আইনজীবীরা আদলতে দাবি করেন, তাঁদের মক্কেলের বন্দিদশা আটকাতেই সিবিআই ও ইডি মিলিতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও, বিচারক সেই দাবি উড়িয়ে দেন। প্রসঙ্গত, সিবিআই যে আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে, তার সঙ্গেই যোগ থাকা বেআইনি অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত মামলাটি তদন্ত করছে ইডি। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, সিবিআইয়ের দায়ের করা আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিহার জেলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকতে হবে প্রথম সারির কংগ্রেস নেতা চিদম্বরমকে। গত ২১ অগাস্ট তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তিহার জেলে ৪০ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। চিদম্বরম প্রথম কংগ্রেস-ইউপিএ সরকারের অর্থমন্ত্রী থাকাকালে পিটার ও ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের তৈরি আইএনএক্স মিডিয়াকে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ পাওয়ায় বিদেশি বিনিয়োগ প্রমোশন বোর্ডের ছাড়পত্র মঞ্জুর করায় অনিয়ম হয়েছে বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ।