Live Updates: দিল্লি পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টার বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
LIVE
Background
নয়াদিল্লি: ট্রাম্পের সফরের মধ্যেই রণক্ষেত্র দিল্লি। সিএএ আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষে মৃত্যু হল হেড কনস্টেবল-সহ ৫ জনের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে শান্তি ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
রাজধানীর বুকে অশান্তি আগুন। সূত্রের খবর, সংঘাতের আবহে দিল্লির উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সোমবার বৈঠকে ডাকেন অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রসচিব এ কে ভাল্লা জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হয়েছে।
রাজধানীর ১০টি জায়গায় জারি ১৪৪ ধারা। মঙ্গলবার উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সরকারি-বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন উপমুখ্যমন্ত্রী।
রবিবারের ঘটনার রেশ ধরেই সিএএ-আন্দোলনের সমর্থনকারী ও বিরোধীদের সংঘাতের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লির মৌজপুর। প্রাণ যায় দিল্লি পুলিশের এক হেড কনস্টেবলের। এছাড়াও আরও চার জনের মৃত্যু হয় বলে, দিল্লি পুলিশকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা ANI।
এই সংঘাতের আবহেই ভাইরাল হয় এক ভয়ঙ্কর ভিডিও। সূত্রের খবর, জায়গাটি দিল্লির জাফরাবাদ। আর ভিডিওতে দেখা যায়, দিনেদুপুরে রাজধানীর রাস্তায় এক পুলিশের দিকে পিস্তল তাক করে এগিয়ে যাচ্ছেন এক যুবক। এরপর দেখা যায় পুলিশকর্মী ওই যুবককে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন। উল্টোদিক থেকে তখন ধেয়ে আসে ইট। .
সূত্রের খবর, পরে এই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর নাম শাহরুখ। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
রবিবার সিএএ নিয়ে আন্দোলনকে ঘিরে, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় দিল্লির জাফরাবাদে। সোমবার তার রেশ গিয়ে পড়ে গোকুলপুরীতে। মুড়ি-মুড়কির মতো শুরু হয় ইটবৃষ্টি! ভাঙা হয় একাধিক বাড়ির কাচ। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পেট্রোল পাম্পে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণের মধ্যে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সঙ্গে নামানো হয় আধা সামরিক বাহিনী।
ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। চলে লাঠিচার্জ। সংঘর্ষের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয়েছে দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লালের। জখম হন একজন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার-সহ বেশ কয়েকজন অফিসার।
দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ। তাই এই পরিস্থিতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল ট্যুইট করেন, ‘মাননীয় লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিল্লিতে আইন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এই গণ্ডগোলের নেপথ্যে ষড়যন্ত্র দেখছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে দাবি,
সম্ভবত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের দিকে তাকিয়েই সঙ্ঘবদ্ধভাবে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসা ছড়ানো হয়েছে। বিষয়টির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও দিল্লির পুলিশ কমিশনার। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
এই হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাহুল গাঁধী। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, দিল্লিতে যে হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে, দ্ব্যর্থহীনভাবে তার নিন্দা করা উচিত। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষণ, তবে হিংসা কখনই ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না। দিল্লিবাসীর কাছে আমার অনুরোধ, যতই প্ররোচনা দেওয়া হোক, ধৈর্য্য ও সংযম বজায় রাখুন।
গণ্ডগোলের জেরে বন্ধ রাখা হয় ৫টি মেট্রো স্টেশন। সেগুলি হল, জাফরাবাদ, মৌজপুর-বাবরপুর, গোকুলপুরী, জহরী এনক্লেভ, এবং শিব বিহার মেট্রো স্টেশন।