LIVE UPDATE: মহারাষ্ট্রে শিবসেনার তৎপরতা অব্যহত, কংগ্রেসের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়েছে, কিছু সিদ্ধান্ত নিলে জানাব, বললেন উদ্ধব
LIVE
Background
মুম্বই: মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পর সুর নরম শিবসেনার। সংবিধানের ৩৫৬ ধারার প্রয়োগের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এখনই আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে না উদ্ধব ঠাকরের দল। গতকালই রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে শিবসেনা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সরকার গঠনে যে সময় চাওয়া হয়েছিল তা দেননি রাজ্যপাল। শিবসেনার দাবি, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে যাওয়ায় রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জের মামলা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ নিয়ে নতুন মামলা করা হবে না, তা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের দল।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলেও সরকার গঠনের এখনও অব্যাহত তৎপরতা। মঙ্গলবার রাতে মুম্বইয়ের একটি হোটেলে কংগ্রেস সাংসদ আহমেদ পটেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন উদ্ধব।
প্রবীণ এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার জানিয়েছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবেন শরদ পওয়ারই।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, বিজেপিও এনসিপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। জানা গেছে, শিবসেনার কয়েকজন বিধায়কও কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনায় সন্তুষ্ট নয়। তারা নাকি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবার পরই আবার সরকার গঠনে তৎপর হয়ে উঠেছে বিজেপি। দেবেন্দ্র ফড়নবীশ, নারায়ণ রানে, প্রত্যেকেই স্থায়ী সরকার গঠিত হবে দাবি করেছেন।
এর আগে, বৃহত্তম দল হিসাবে সরকার গঠনে ডাক পেলেও সরকার গঠন করবে না বলে জানিয়ে দেয় বিজেপি। এক সময় মনে হয়েছিল , বিজেপিকে ছাড়াই সরকার গড়ার প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে শিবসেনা। এনসিপি ও কংগ্রেসের সংখ্যা যোগ করে মোট ১৫৪ বিধায়কের সমর্থন পেয়েই গিয়েছেন বলে ধরে নিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরের দল। কিন্তু শেষমেশসেই জোটসূত্র রফা হয়নি।
সূত্রের খবর, সোমবার, বিকেল পাঁচটা নাগাদ, সনিয়া গাঁধীকে ফোন করে তাঁদের সমর্থন করার প্রস্তাব দেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। দলীয় স্তরে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে উদ্ধবকে জানান সনিয়াও। কিন্তু, সেই কথোপকথনের ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই সনিয়াকে ফোন করেন শরদ পওয়ার। সূত্র বলছে, সনিয়াকে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিতে নিরস্ত করেন শরদ।
সোমবার, মহারাষ্ট্র নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে কংগ্রেস। সূত্রের খবর বৈঠকে শিবসেনার সঙ্গে জোটে যেতে প্রবল ভাবে আপত্তি জানিয়েছিলেন সনিয়া গাঁধী।