Google Harrassment Case: বেড়েই চলেছে হেনস্থার ঘটনা, বিহিত চেয়ে সিইও সুন্দর পিচাইকে খোলা চিঠি ৫০০ গুগল কর্মীর
ঘটনার সূত্রপাত নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ মতামত প্রকাশের বিভাগে একটি চিঠিতে কেন্দ্র করে।সেখানে গুগলের কাজের পরিবেশ সম্পর্কে মতামত রাখেন সংস্থার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার এমি নেটফেল্ড। সেখানে কর্মস্থলে নিজের হেনস্থার অভিজ্ঞতার কথা বিস্তারিতভাবে জানান এমি। তিনি জানান, গুগল কীভাবে তাঁকে হেনস্থার ঘটনার বিষয়টি সামলেছিল।
![Google Harrassment Case: বেড়েই চলেছে হেনস্থার ঘটনা, বিহিত চেয়ে সিইও সুন্দর পিচাইকে খোলা চিঠি ৫০০ গুগল কর্মীর More than 500 employees at Google written open letter of harrassment to Sundar Pichai Google Harrassment Case: বেড়েই চলেছে হেনস্থার ঘটনা, বিহিত চেয়ে সিইও সুন্দর পিচাইকে খোলা চিঠি ৫০০ গুগল কর্মীর](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/04/10/3fd23c87fa0b03e1ca5d041de8b95833_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নিউইয়র্ক: বার বার বলেও লাভ হয়নি। উল্টে মাত্রা ছাড়িয়েছে হেনস্থার ঘটনা।এবার গুগল ও অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাইকে খোলা চিঠি দিলেন ৫০০ গুগল কর্মী। চিঠিতে বলা হয়েছে, কোম্পানি যাতে নিগ্রহকারীদের আড়াল না করে।
ওই খোলা চিঠি মিডিয়ামে প্রকাশিত হয়েছে। চিঠিতে কোম্পানিতে যে সব কর্মীরা হেনস্থার শিকার হয়েছেন, তাঁদের নিরাপদ পরিবেশ দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ মতামত প্রকাশের বিভাগে একটি চিঠিতে কেন্দ্র করে।সেখানে গুগলের কাজের পরিবেশ সম্পর্কে মতামত রাখেন সংস্থার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার এমি নেটফেল্ড। সেখানে কর্মস্থলে নিজের হেনস্থার অভিজ্ঞতার কথা বিস্তারিতভাবে জানান এমি। তিনি জানান, গুগল কীভাবে তাঁকে হেনস্থার ঘটনার বিষয়টি সামলেছিল। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে এমি বলেন, গুগলে কাজ করার পর, আর অন্য কোনও কাজকে ভালোবাসতে পারবেন না। তিনি জানিয়েছেন, এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যে তাঁকে হেনস্থা করেছে, তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে বাধ্য করা হয়েছিল। এমনকি, তাঁকে নিগ্রহকারীর পাশে বসতেও বাধ্য করা হয়েছিল।
এমি জানিয়েছেন, হেনস্থার অভিযোগের তদন্তে অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে চাইলে বা হেনস্থাকারীর আশেপাশে থেকে কাজ করার ব্যাপারে অস্বস্তির কথা জানালে তাঁকে কাউন্সেলিং নেওয়া, বাড়ি থেকে কাজ বা ছুটি নেওয়ার পরার্মশ দেওয়া হত। এমি বলেছেন, পরে তিনি জানতে পারেন যে, বর্ণবিদ্বেষ বা যৌন হেনস্থার শিকার গুগলের অন্যান্য কর্মীরাও একই ধরনের ব্যবহার পেয়েছেন।
গুগলের ৫০০ কর্মীর খোলা চিঠিতেও উল্লেখ করা হয়েছে এমির প্রসঙ্গ। কীভাবে হেনস্থাকারীর সামনে তাঁকে বসতে বাধা করা হয়েছে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে তার। চিঠিতে বলা হয়েছে, গুগলে এমির ঘটনাই প্রথম নয়। চিঠিতে অভিযোগ, হেনস্থার শিকারকে নয়, হেনস্থাকারীদের আড়াল করার ইতিহাস রয়েছে গুগলে। চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, যে-ই হেনস্থার অভিযোগ করেছেন, তাঁকেই এর বোঝা বইতে হয়েছে। অ্যালফাবেট ছাড়তে হয়েছে তাঁদের। অথচ, হেনস্থাকারীরা বহাল তবিয়তেই রয়ে গিয়েছেন কোম্পানিতে, বা আচরণের জন্য তাঁদের পুরস্কৃত করা হয়েছে বলেও চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, মহিলা কর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অ্যান্ড্রয়েড মাবাইল সফটওয়্যারের স্রষ্টা অ্যান্ডি রুবিনকে ৯০ মিলিয়ন ডলার এক্সিট প্যাকেজ দিয়েছিল সংস্থা। একই ঘটনা ঘটেছিল অমিত সিঙ্ঘলের ক্ষেত্রে। যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন এই প্রাক্তন সার্চ এক্সিকিউটিভ। কোম্পানি ছাড়তে বাধ্য হওয়ার সময় তাঁকে ৩৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)