(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
আগামী মাসে মোদি-ইমরান দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কোনও পরিকল্পনা নেই, জানাল বিদেশমন্ত্রক
আগামী সপ্তাহে কিরঘিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বসছে এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বার্ষিক সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মোদি। সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানও।
নয়াদিল্লি: কিরঘিজস্তানে আসন্ন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাক রাষ্ট্রনেতা ইমরান খানের মধ্যে বৈঠক হওয়ার এখও পর্যন্ত কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে দিল বিদেশমন্ত্রক। আগামী সপ্তাহে কিরঘিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বসছে এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বার্ষিক সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মোদি। সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানও। ফলত, বেশ কিছুদিন ধরেই কূটনৈতিক মহলে জোর জল্পনা চলছে যে, সম্মেলনের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠকে হয়ত একান্ত বৈঠকে মিলিত হতে পারেন মোদি-ইমরান। তার ওপর পাক বিদেশ সচিব সোহেল মাহমুদের বেসরকারি ভারত সফরের পর সেই জল্পনা আরও জোরদার হয়। যদিও, বৃহস্পতিবার সেই জল্পনা খারিজ করে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবনীশ কুমার বলেন, যতদূর আমি জানি, এখনও পর্যন্ত দুই শীর্ষ নেতার কোনও বৈঠকের পরিকল্পনা নেই। যদিও, বৈঠকের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেননি তিনি। আগামী ১৩-১৪ জুন বিশকেকে বসছে এসসিও সম্মেলন। এদিকে, সোহেল মাহমুদের সফর নিয়েও মুখ খুলতে চায়নি বিদেশমন্ত্রক। প্রসঙ্গত, পাক বিদেশসচিবের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ভারতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার ছিলেন তিনি। গত এপ্রিল মাসে, তাঁকে বিদেশসচিব হিসেবে নিয়োগ করে ইমরান-প্রশাসন। বর্তমানে তিনদিনের ব্যক্তিগত সফরে ভারতে এসেছেন সোহেল। রবনীশ জানিয়েছেন, এই সফরে কোনও ভারতীয় আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে না পাক বিদেশসচিবের। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। প্রতিক্রিয়ায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে বিমান-হানা চালিয়ে সেখানে জঙ্গি-ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এরপরই, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখলের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই শীতলতাকে ভাঙার উদ্যোগ নেন ইমরান। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান। দ্বিপাক্ষিক উন্নতির লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। মোদি তাঁকে আস্থাবৃদ্ধি পদক্ষেপ নেওয়ার এবং হিংসা ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ তৈরি করার পরামর্শ দেন।