Petrol Price: অব্যাহত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ২৮ পয়সা বেড়ে ৮৮.৫১ টাকা
আজ কলকাতায় ফের পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২৬ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ২৮ পয়সা বাড়ল। ফলে পেট্রোলের দাম হল লিটারে ৯৪ টাকা ৭৬ পয়সা। ডিজেলের দাম লিটারে ৮৮ টাকা ৫১ পয়সা হল।
কলকাতা: জ্বালানির দামের রেকর্ড বৃদ্ধি অব্যাহত। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি দু’একদিন অন্তর বাড়িয়েই চলেছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। আজ কলকাতায় ফের পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২৬ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ২৮ পয়সা বাড়ল। ফলে পেট্রোলের দাম হল লিটারে ৯৪ টাকা ৭৬ পয়সা। ডিজেলের দাম লিটারে ৮৮ টাকা ৫১ পয়সা হল। এর প্রভাবে বাজারে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে। পকেটে টান পড়ার সম্ভাবনা আম নাগরিকেরও।
দিল্লিতে পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি লিটারে ৯৪.৭৬ টাকা। ডিজেলের দাম বেড়ে প্রতি লিটারে হয়েছে ৮৫.৬৬ টাকা। মুম্বইয়ে পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি লিটারে ১০০.৯৮ টাকা।ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি লিটারে ৯০.৩৮ টাকা।
গত ১ জুনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি পেট্রোলের দাম লিটারে ২৬ পয়সা ও ডিজেলে লিটারে ২৩ পয়সা বাড়িয়েছিল। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু শহরে পেট্রোলের দাম ইতিমধ্যেই ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম প্রতিদিন সকাল ছয়টায় সংশোধন করা হয়। সকাল ছয়টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়। পেট্রোল ও ডিজেলের দামে এক্সাইজ ডিউটির মতো কিছু ট্যাক্স ও ডিলারের কমিশন যুক্ত হয়। এসব যুক্ত করার পর দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এসএমএসের মাধ্যমেও পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য জানা যায়। ইন্ডিয়ান ওয়েলের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, আরএসপি ও নিজের শহরের কোড লিখে ৯২২৪৯৯২২৪৯ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হয়। মনে রাখতে হবে যে, প্রত্যেক শহরের কোড ভিন্ন। সেই কোড ইন্ডিয়ান অয়েলের ওয়েবসাইটে সহজেই পাওয়া যায়।
গত মে মাসের আগের দুই মাস দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছিল। ওই সময় আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশের বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়েনি। গত ২ মে ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়। এর পর থেকেই ফের পেট্রোল ও ডিজেলের দাম সংশোধিত হতে শুরু করে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় কর ও পরিবহন খরচ অনুসারে দেশের বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল ও ডিজেলের দামে ফারাক হয়ে থাকে।করোনা পরিস্থিতির জেরে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে দেশ। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তার ওপর পেট্রোল-ডিজেলের এইভাবে দাম বেড়ে চলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক বোঝা আরও বাড়ার আশঙ্কা।