কোভিড ১৯ নিয়ন্ত্রণে আসা পর্যন্ত সব স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রের জাতীয়করণ হোক, বিনামূল্যে টেস্ট, চিকিৎসা চাই, সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন

আবেদনকারীর আরও দাবি, সব স্বাস্থ্য পরিষেবাদাতা সংস্থা, কেন্দ্র, কোম্পানি ও এই সংক্রান্ত সংস্থাকে বিনামূল্যে করোনাভাইরাস টেস্ট ও চিকিৎসা করার নির্দেশও দেওয়া হোক।

নয়াদিল্লি: ভারতের করোনাভাইরাস অতিমারীর মোকাবিলা করার মতো পর্যাপ্ত জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো নেই বলে সওয়াল করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করে দাবি করা হল, দেশে কোভিড ১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসা পর্যন্ত যাবতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র, প্রতিষ্ঠান ও সহযোগী সংস্থার জাতীয়করণ করতে কেন্দ্র, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দিক সর্বোচ্চ আদালত। আবেদনকারীর আরও দাবি, সব স্বাস্থ্য পরিষেবাদাতা সংস্থা, কেন্দ্র, কোম্পানি ও এই সংক্রান্ত সংস্থাকে বিনামূল্যে করোনাভাইরাস টেস্ট ও চিকিৎসা করার নির্দেশও দেওয়া হোক। শীর্ষ আদালত গতকালই সব বেসরকারি ল্যাবরেটরির বর্তমান জাতীয় সঙ্কটের সময় সেবার মানসিকতা দেখানো উচিত বলে অভিমত জানিয়ে বিনা পয়সায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ টেস্ট করানোর নির্দেশ  দেয়।  বেসরকারি পরীক্ষাগারগুলি কোভিড ১৯ স্ক্রিনিং ও নির্ধারণ পরীক্ষার জন্য সাড়ে চার হাজার টাকা নেয়। দিল্লির আইনজীবী অমিত দ্বিবেদীর দাখিল করা পিটিশনে বলা হয়েছে, বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে অতি সামান্য বরাদ্দ হওয়ার ফলে  দেশের জনস্বাস্থ্য সেক্টরের বেহাল দশা বহাল রয়েছে, কিন্তু আরেকদিকে বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার দুর্দান্ত বৃদ্ধি হয়েছে। কোভিড ১৯ এর মতো অতিমারী সামলানোর মতো পর্যাপ্ত  জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভারতে না থাকায় শেষ পর্যন্ত সেই বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির দ্বারস্থই হতে হয় মানুষকে। এমন দুঃসময়ে ভারত রাষ্ট্রের প্রাথমিক কর্তব্য হল সব বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে সেগুলির সাময়িক জাতীয়করণ করে বিনামূল্যে মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বাধ্য করা যাতে কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ ঠেকানো যায়, মানুষকে ভাল মানের চিকিৎসা, সেবা দেওয়া সম্ভব হয়। পিটিশনে বলা হয়েছে, দুর্ভাগ্যজনক হল, ভারতের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ভাল নয় এবং এমন অবস্থার জন্য কম অর্থব্যয় অনেকাংশে দায়ী। ২০২০-২১ এর দেশের বাজেটে জনস্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের মাত্র ১.৬ শতাংশ, অর্থাৎ ৬৭৪৮৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের পিছনে গড় ব্যয়ের তুলনায় খুবই কম তো বটেই, নিম্ন আয়ের দেশগুলির খরচ করা অর্থের তুলনায়ও অতি ক্ষুদ্র।